এনআরসি গোটা দেশেই চলবে, চিন্তিত হওয়া অনুচিত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ২০ নভেম্বর (হি.স.): হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্সী শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত, এ জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন রয়েছে| যাতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ অথবা আফগানিস্তানে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পান| বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এমনই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ| জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘এনআরসি-র ক্ষেত্রে এমন কোনও বিধান নেই, যা বলে অন্য কোনও ধর্ম এনআরসি-র অধীনে নেওয়া হবে না| ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের সমস্ত নাগরিক এনআরসি তালিকায় স্থান পাবেন| নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের থেকে ভিন্ন জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)|’

কী কারণে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন রয়েছে, সেই উত্তর দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্সী শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত, এ জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন রয়েছে| যাতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ অথবা আফগানিস্তানে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার শরণার্থীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পান|’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) প্রক্রিয়া গোটা দেশেই চলবে| ধর্ম নির্বিশেষে কারও চিন্তিত হওয়া উচিত নয়, সবাইকে এনআরসি-র অধীনে আনাটাই শুধুমাত্র প্রক্রিয়া|’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘খসড়া তালিকায় যাদের নাম পাওয়া যায়নি, তাঁদের ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার অধিকার রয়েছে| অসমজুড়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে| যদি কোনও ব্যক্তির কাছে ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার টাকা না থাকে, তাহলে আইনজীবী নিয়োগের ব্যয় বহন করবে অসম সরকার|’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এদিন রাজ্যসভায় জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল এবং সংসদের যৌথ কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল| ওই কমিটি ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি রিপোর্ট পেশ করেছিল| ৮ জানুয়ারি লোকসভায় বিবেচিত এবং পাশ হয়েছিল নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল, ২০১৯|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *