নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ নভেম্বর ৷৷ সদর মহকুমা শাসক বুধবার রাজধানী আগরতলা শহরের মঠচৌমুহনি বাজার সহ অন্যান্য বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রীর বিরুদ্ধে অভিযানে শামিল হন৷

মঠ চৌমুহনি বাজারে এ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করার দায়ে দুটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে৷ পরিদর্শনকালে সদরের এসডিএম জানান, তাদের কাছে খবর রয়েছে বিভিন্ন দোকানপাটে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত বিভিন্ন সামগ্রী বেআইনিভাবে বিক্রি করা হচ্ছে৷ এসব সামগ্রী জনস্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক৷ সে কারণেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে প্রশাসন৷ অন্যান্য বাজারেও এ ধরনের অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান৷ ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের প্যাকেটজাত সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সচেতন থাকার জন্য সদরের এসডিএম পরামর্শ দিয়েছেন৷ কোথাও কোন ধরনের গড়মিল পরিলক্ষিত হলে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে মহকুমা প্রশাসনের নজরে আনতেও তিনি বলেছেন৷
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে৷ প্রশাসন এসব বিষয়ে তেমন কোন নজরদারি রাখছে না৷ কালেভদ্রে প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিযান চালাচ্ছেন৷ এর ফলে সুযোগসন্ধানীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে চলেছে৷ রাজধানী আগরতলা শহর কিংবা সমতল এলাকায় শিক্ষিত অংশের জনগণ অনেকটাই সচেতন থাকলেও গ্রাম পাহাড়ে মানুষ ততটা সচেতন নন৷
অর্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত মানুষজন এসব বিষয়ে খোঁজখবরই রাখেন না৷ ফলে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন প্যাকেটজাত সামগ্রী গ্রামপাহাড়ে বিনা বাধায় বিক্রি হচ্ছে৷ ওইসব এলাকায় প্রশাসনের কোন ধরনের নজরদারি নেই৷ ওইসব মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত সামগ্রী খেয়ে বহু মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে লিভারের অসুখ হচ্ছে৷ সদর মহকুমা শাসক জানিয়েছেন গোটা রাজ্যেই এ ধরনের তৎপরতা চালানো হবে৷
সদর মহকুমা প্রশাসন মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত সামগ্রী পরীক্ষার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সিন্ধুকে বিন্দুমাত্র হলেও অনেক ব্যবসায়ীর টনক নড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের অভিযান চালানো প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ এ বিষয়ে প্রশাসনকে রাজ্যজুড়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে সচেতন মহল থেকে দাবি জানানো হয়েছে৷

