![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/10/indian-army-1.jpg)
সিয়াচেন, ১৮ নভেম্বর (হি.স.) : সিয়াচেনে ভয়াবহ তুষার-ধস | সোমবার দুপুরে ভূপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮,০০০ ফুট উচ্চতায় নর্দান গ্লেসিয়ারে এই দুর্ঘটনায় ধসের নিচে আটকে পড়েছেন ভারতীয় সেনার একটি দল। জোর কদমে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার বিকেল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় হিমবাহের উত্তরাংশে তুষার ধস হয়। এই তুষার ধসে সেনা ক্যাম্পের বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরফের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছেন বেশ কিছু জওয়ান। প্রাথমিক খবরে জানা গেছে, এদিন দুপুরে সিয়াচেনের ১৮,০০০ ফুট উচ্চতায় নর্দান গ্লেসিয়ারে টহলদারিতে মোতায়েন ছিল ছিলেন জওয়ানদের আটজনের একটি টহলদারি দল । দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাত সিয়াচেনের উত্তর প্রান্তে ধস নামে। আচমকা এই ধসে আটকে পড়েন ওই টহলদারি দলের জোয়ানরা | খবর পেয়েই উদ্ধারকারী দল রওনা দিয়েছে সিয়াচেনে। সেখানে উপস্থিত অন্য জওয়ানরা ইতিমধ্যেই উদ্ধারের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। জোর কদমে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। তবে ক’জন জওয়ান এই বিপর্যয়ের কবলে পড়েছেন সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা গিয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সেনার এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, “জওয়ানরা প্রত্যেক দিনের মতোই টহলদারির কাজে গিয়েছিলেন। সেই সময় ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার ফুট উচ্চতার মধ্যে তুষার ধসের কবলে পড়ে বরফের মধ্যে আটকে পড়েন তাঁরা। তাঁদের উদ্ধার করে আনার জন্য এক বড় উদ্ধারকারী দলকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে সবাইকেই উদ্ধার করে আনা সম্ভব হবে।”
কারাকোরাম রেঞ্জের এই অঞ্চলকেই বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র বলে ধরা হয়। তুষারধস, পাথরধস এখানকার নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা। শীতকালে তাপমাত্রা মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এই প্রবল প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যেই ভারতীয় জওয়ানরা দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য মোতায়েন আছেন। ওই অফিসার আরও জানিয়েছেন , সিয়াচেনে কর্তব্যরত জওয়ানরা এই ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হয় তা তাঁদের ভালভাবেই জানা আছে।