নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ নভেম্বর৷৷ এসবিআই একাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার তিনদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা অন্ধকারেই হাতরাচ্ছে৷ হ্যাকারদের টিকির নাগালও পায়নি৷ তবে, এই ব্যাপারে কিছুটা ক্লু পেয়েছে৷ এদিকে, আরও কয়েকটি হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে৷ অন্যদিকে, এসবিআই’র তরফ থেকে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, কিছু কিছু এটিএম ব্লক করে দেওয়া হয়েছে৷ তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই৷ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক শাখায় যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে৷
সেই মোতাবেক সাইবার ক্রাইম শাখার তরফ থেকে রাজধানী আগরতলা শহরের চারটি এটিএম কাউন্টার চিহ্ণিত করেছে যেগুলিকে ব্যবহার করে হ্যাকাররা অনলাইনে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে৷ এই চারটি এটিএম হল বটতলাস্থিত এসবিআই এটিএম, ইন্দ্রনগরস্থিত এসবিআই এটিএম, কামানচৌমুহনীস্থিত এসবিআই এটিএম এবং পোস্টফিস চৌমুহনীস্থিত ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের এটিএম৷ সাইবার ক্রাইম শাখার তরফ থেকে বলা হয়েছে, এইসব এটিএম যারা ব্যবহার করেছেন তাদের এটিএম কার্ডের পিন বদল করার প্রয়োজনে কার্ড ব্লক করার জন্য৷
তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সাইবার ক্রাইম শাখা এখনও পর্যন্ত হ্যাকারদের চিহ্ণিত করতে পারছে না৷ তবে, সন্দেহজনক কয়েকজনকে সনাক্ত করা হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই সাইবার ক্রাইম শাখা এই ঘটনায় হ্যাকরদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে৷ এখনও পর্যন্ত এসবিআইয়ের কয়েকজন গ্রাহকের এটিএম থেকে প্রায় কোটি টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছে হ্যাকাররা৷ সাইবার ক্রাইম শাখার প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে মূলত হ্যাকাররা কলকাতার বিধাননগর থেকে এই কাজ করছে৷ এই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তাদের সহায়তা চেয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের সাইবার ক্রাহম শাখার তরফ থেকে৷ তাছাড়া কয়েকটি এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে দুই ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় রয়েছে৷ পুলিশ এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে৷
এদিকে, বহিঃরাজ্যের হ্যাকারদের কবলে রাজ্যের একাউন্ট হোল্ডাররা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন৷ বিশেষ করে এসবিআই’র গ্রাহকদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ওই শক্তিশালী হ্যাকার চক্রটি৷ এই নিয়ে এসবিআই’র আধিকারীকদের মধ্যেও থরহরি কম্প লেগে গিয়েছে৷ কিন্তু, প্রশ্ণ উঠেছে রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত ত্রিপুরা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা এখনও এতটা দূর্বল কেন৷ আর্থিক অপরাধের বিষয়ে এই সাইবার ক্রাইম বিভাগ হতাশার প্রমাণ দিচ্ছে বারবার৷ ব্যাঙ্ক কর্মীরা কার্যত অসহায় হয়ে পুলিশের দিকে তাকিয়ে আছে৷