বিধ্বংসী আগুনে মেঘালয়ের রাজধানী শিলঙে ১১৭ বছরের পুরনো গির্জা পুড়ে ভস্ম, হত মহিলা-সহ দুই

শিলং, ১৭ নভেম্বর (হি. স.) : বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১১৭ বছর পুরনো গির্জা পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে শিলঙে। এ ঘটনায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এক দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনা আজ রবিবার ভোর প্রায় সাড়ে তিনটা (৩:০০) নাগাদ স্থানীয় কুয়ালাপট্টিতে সংঘটিত হয়েছে। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও অস্পষ্ট।

শিলঙে পূর্ব খাসিপাহাড় জেলার পুলিশ সুপার ক্লাউডিয়া লিংগওা ঘটনার তথ্য দিতে গিয়ে হিন্দুস্থান সমাচার-কে জানান, আজ ভোর প্রায় চারটা নাগাদ পুলিশের কাছে খবর আসে কুয়ালাপট্টিতে অবস্থিত ‘চাৰ্চ অব গড’-এ আগুন ধরেছে। গির্জাটি তৈরি হয়েছিল প্রায় ১১৭ বছর আগে ১৯০২ সালে। মেঘালয়ের অন্যতম সর্বকালীন প্রাচীন গির্জা লাগোয়া এক আবাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধ দম্পতির অকালে মর্মান্তিক মৃত্য হয়েছে। তাঁরা তিয়ামেরিন বাসাইয়া মইত (৫৫) এবং তাঁর স্ত্রী রিলায়েবল লালু (৭৩), জানান পুলিশ সুপার।

পুলিশ সুপার জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রায় ১০-১২টি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকল কর্মীরা। অক্লান্ত চেষ্টা করেও আগুনের গ্রাস থেকে গির্জাকে রক্ষা করতে পারেননি দমকলকর্মীরা। তিনি জানান, চারটায় খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তবে গির্জায় যাওয়ার রাস্তাটি অত্যন্ত সরু থাকায় ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। অন্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগুনের সূত্রপাত সম্ভবত প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে তিনটা নাগাদ হয়েছে, তাঁদের কাছে খবর আসার আগে। আরও জানান, গির্জার ভিতরে নতুন করে ইলেকট্রিক ওয়ারিং চলছিল। মনে হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগের ফলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার সি লিংগওা।

এদিকে ‘চাৰ্চ অব গড’ নামের গিৰ্জায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ভোরেই রাজ্যের গৃহমন্ত্রী জেমস সাংমা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এএল হেক, মেঘালয়ের পুলিশপ্রধানরা অকুস্থলে ছুটে যান। ঘটনার জন্য গভীর খেদ ব্যক্ত করে ঘটনার উচ্চস্তরের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। ঘটনার পর পরই তিনি তাঁর টুইট হ্যান্ডলে এই খবর দিয়ে নিহত বৃদ্ধ দম্পতির প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯০২ সালে বিদেশি পাদ্রিদের সহায়তায় রেভারেন্ট ওয়ালিমোহন রয়, রেভারেন্ট জেজেএম নিকলস রয়, ব্রাদার জবিন রয় সাইন এবং অন্য স্থানীয়দের উদ্যোগে ‘চাৰ্চ অব গড’ তৈরি হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *