প্রধান বিচাপতি গগৈকে বিদায় সম্বর্ধনা দিল সুপ্রিম কোর্টর বার অ্যাসোসিয়েশন

নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর (হি.স.): শুক্রবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে বিদায় সম্বর্ধনা দিল সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন । এদিন তাঁর উত্তরসূরী বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে সহ সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতিদের উপস্থিতিতে অত্যন্ত সাধারণভাবে সম্পন্ন বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ।তাঁর অনুরোধে সুপ্রিম কোর্ট চত্ত্বরে কোনও মঞ্চ তৈরি করা হয়নি | এদিন তিনি কোনও বক্তৃতাও রাখেননি । তাঁর লেখা বার্তা  পাঠ করা হয়। ওই বার্তায় তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, যদিও আমি আর এই অসাধারণ ও শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারিভাবে জড়িত থাকব না, কিন্তু আমার একটা অংশ সর্বদা জড়িত থাকবে এবং শুভকামনা করবে।

গত বছরের ৩ অক্টোবর দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন রঞ্জন গগৈ | যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত সহ কয়েক দশক ধরে চলা বহু বিতর্কিত অযোধ্যা-মামলার নিষ্পত্তি হয় তাঁর হাত ধরেই। আর আগামী ১৭ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন শীর্ষ আদালতের সেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ । আগামী দুদিন শনি ও রবিবার হওয়ায় আদালতে আজই শেষদিন | এদিন শেষবারের মতো, নিজের চেয়ারে বসেন গগৈ। উত্তরসূরীকে পাশে বসিয়ে তাঁর সামনে থাকা ১০টি মামলায় নোটিস জারি করেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে বিদায়ী সম্বর্ধনা জানানো হয়। ওই আনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর উত্তরসূরী বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে সহ সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতিরা। যদিও, এদিন কোনও বক্তৃতা রাখেননি গগৈ। তাঁর লেখা বার্তা  পাঠ করা হয়।
সেখানে গগৈ লিখেছেন, যদিও আমি আর এই অসাধারণ ও শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারিভাবে জড়িত থাকব না, কিন্তু আমার একটা অংশ সর্বদা জড়িত থাকবে এবং শুভকামনা করবে।  গগৈ জানান, আইনজীবী ও বিচারক হিসেবে আইনের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানকে কাছ থেকে দেখতে পেরে তিনি সম্মানিত।  এই প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখার এক সুযোগ পেয়েছি। সর্বদা নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিচার করার চেষ্টা করেছি।

এর আগে এদিন রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন রঞ্জন গগৈ। রঞ্জন গগৈ যেদিন প্রধান বিচারপতির দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সেদিনও রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছিলেন । বিদায়ী অনুষ্ঠানের পরে আজ সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্টের ৬৫০ বিচারপতি এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১৫ হাজার কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত সুবিচার দেওয়ার জন্য তাদের কঠোর পরিশ্রম করার জন্য উত্সাহিত করেন ।

উল্লেখ্য, এর আগে, যখনই কোনও বিচারপতি অবসর গ্রহণ করেছেন তখন সেখানে একটি মঞ্চ তৈরি করে বিদায় সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে | এছাড়া বিচারকদের পাশাপাশি অনেক আইনজীবীরাও তাদের মতামত প্রকাশ করতেন সেই অনুষ্ঠানে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *