জম্পুইয়ে কমলার ফলন তলানিতে, উত্তর বড়মুড়ায় হচ্ছে বিকল্প বাগিচা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ নভেম্বর৷৷ জম্পুইয়ে কমলা উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ তাই উত্তর বড়মুড়া পাহাড়ে বিকল্প বাগিচার জন্য রাজ্য সরকার উৎসাহ দিতে প্রস্তুত৷ আজ কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় জানিয়েছেন, উত্তর বড়মুড়া পাহাড়ে ৩৫৪ পরিবার কমলা উৎপাদন করছেন৷ তাদের মধ্যে ২০০ পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ তিনি জানান, রাজ্যে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, কমলা চাষ খুবই লাভজনক৷ কারণ, প্রতিটি গাছে ২২৫ থেকে ২৩০টি কমলার ফলন হয়৷ স্বাভাবিকভাবেই কমলা চাষ করে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব৷ সাথে তিনি যোগ করেন জম্পুইয়ে কমলার ফলন পুনরায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগ্রহী চাষিদের সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের৷


এদিন তিনি জানান, ত্রিপুরার ঐতিহ্যপূর্ণ জম্পুইয়ের কমলা এখন ফলন হচ্ছে না৷ কারণ, কমলা গাছে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে৷ ফলে কমলা চাষিরা এই চাষাবাদে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন৷ তিনি জানান, জম্পুইয়ে আগের তুলনায় বনায়ন অনেকটাই কমেছে৷ এরই পাশাপাশি আবহাওয়ায় তারতম্য দেখা দিয়েছে৷ ফলে, জম্পুইয়ে কমলার ফলন এখন চাষিরা করতে চাইছেন না৷ এবিষয়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা জানান, কমলা গাছে ছত্রাক জাতীয় রোগ দেখা দিয়েছে৷

ওই রোগের হাত থেকে নিস্তার পেতে প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করা খুবই জরুরি৷ কিন্তু, কমলা গাছ পরিচর্যার ক্ষেত্রে জলের অভাব অন্যতম প্রধান সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তিনি বলেন, জম্পুই হিল থেকে সমতলের দিকে ১০টি গ্রামে কমলার ফলন হচ্ছিল৷ ওই সমস্ত গ্রামে কমলা গাছে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে৷ এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন একটি গ্রামে রোগের পরিচর্যা করলে যথেষ্ট নয়৷ কারণ ওই রোগ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷ তাই, জম্পুইয়ে কমলাচাষীরা বিকল্প চাষাবাদের দিকে ঝঁুকেছেন৷


এদিন, মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, জম্পুইয়ে পুনরায় কমলার ফলন বাড়ানোর লক্ষ্যে ৫ হেক্টর জমিতে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হবে৷ কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এক্ষেত্রে যারা কমলা চাষে আগ্রহ দেখাবেন তাদেরকে সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *