ইন্দোর, ১৪ নভেম্বর (হি.স.) : বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামের উইকেটে প্রথম দিন উঠল পেস ঝড়। আর এই ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। শুরুর দিনেই যেন ম্যাচের ফলের ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন বিরাট কোহলিরা।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/11/cricket.jpg)
খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টা পাঁচেকের মধ্যেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। সৌজন্যে তিন ভারতীয় পেসার উমেশ যাদব, মহম্মদ শামি এবং ইশান্ত শর্মা। দুটি করে উইকেট তুলে নেন উমেশ ও ইশান্ত। তিনটি উইকেট ঝুলিতে ভরেন বাংলার পেসার শামি। তবে শুধুই পেসাররা নন, জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে নজির গড়লেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হরভজন সিং এবং অনিল কুম্বলের পর তৃতীয় ভারতীয় স্পিনার হিসেবে ঘরের মাটিতে ২৫০-র বেশি উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন তিনি।
এদিন অধিনায়ক মমিনুল হককে ৩৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরাতেই বোলারদের এলিট তালিকায় ঢুকে পড়েন অশ্বিন। সাড়ে তিনশো উইকেট নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে কুম্বলে। ঘরের মাঠে ২৬৫টি উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভাজ্জি। আর এদিন তিন নম্বর জায়গাটি পাকা করলেন অশ্বিন। শুধু তাই নয়, দেশের মাটিতে ৪২টি ম্যাচ খেলে যুগ্ম দ্রুততম বোলার হিসেবে এই মাইলস্টোন স্পর্শ করলেন তিনি। শ্রীলঙ্কান মুথাইয়া মুরলিধরনও একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে এই নজির গড়েছিলেন।
ইন্দোরে প্রথম দিন ভারতীয় শিবিরে হতাশা কেবল একটাই। রোহিত শর্মার রান না পাওয়া। আবু জায়েদের বলে ৬ রানে ক্যাচ আউট হন তিনি। এদিনের খেলা শেষ হয় ভারতের এক উইকেট হারিয়ে ৮৬রান। ক্রিচে মায়াঙ্ক ৩৭ ও পূজারা ৪৩ রানের অপরাজিত রয়েছেন। তবে এদিন জায়েদের নামের পাশে আরও একটি উইকেট লেখা থাকত। কিন্তু মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ক্যাচ ফিল্ডার মিস করেন। ফলে দিনের শেষে নট-আউট থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি। সঙ্গী হিসেবে ক্রিজে রয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা। এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে বিরাটদের জয় আটকায়, সাধ্য কার।