নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর (হি.স.): কর্ণাটকে কংগ্রেস–জনতা দল সেক্যুলার (জেডিএস) জোটের সরকারকে ফেলে দেওয়ার নেপথ্যে বিশেষ ভূমিকা ছিল ১৭ জন ‘বিদ্রোহী’ কংগ্রেস–জেডিএস বিধায়কের| এইচ ডি কুমারস্বামী সরকার পড়ে যাওয়ার পরই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হন বি এস ইয়েদুরাপ্পা| ওই ১৭ জন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন তত্কালীন কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমার| বুধবার কর্ণাটক বিধানসভার তত্কালীন স্পিকার কে আর রমেশ কুমারের বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট|একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আসন্ন উপ–নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন ওই ১৭ জন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক| আগামী ৫ ডিসেম্বর উপ–নির্বাচন হওয়ার কথা|
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2016/10/Court-Hammer.jpg)
তত্কালীন কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমারের বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৭ জন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক| বুধবার রায়দান করার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রামানা জানিয়েছেন, ‘স্পিকারের সিদ্ধান্তই আমরা বহাল রাখছি|’ একইসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, কর্ণাটকের ১৭ জন বিধায়ক উপ–নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন| তবে, বিদ্রোহী বিধায়কদের আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট| বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারির বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘ আবেদনকারীরা যেভাবে আদালতে এসেছে, তা আমরা সমর্থন করি না|’
সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায়ের প্রেক্ষিতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, ‘১৭ জন বিধায়ক উপ–নির্বাচনে লড়তে পারবেন, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি| বৃহস্পতিবার আমরা সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে যাবো| আমি ১০১ শতাংশ নিশ্চিত, ১৭টি বিধানসভা আসনেই আমরা জয়ী হব|’ আবার কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়কে আমি স্বাগত জানাচ্ছি, এমনকি উপ–নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়াকেও স্বাগত জানাচ্ছি| যে সমস্ত বিধায়করা লোভে পড়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চেয়েছিল, তাঁদের ক্ষেত্রে এটা বড় শিক্ষা|’