নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ নভেম্বর৷৷ কথায় আছে লোভে পাপ৷ আর এই লোভের জন্য মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে তা হয়তো এই সভ্য সমাজের কারো জানা নেই৷ সামাজিক অবক্ষয় কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা ফের একবার প্রমান করে দিল রাজধানী লাগোয়া পশ্চিম প্রতাপগড় জনকল্যাণ সংঘ সংলগ্ণ এলাকার ঘটনা৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/07/crime-scene-tape-1024x576.jpg)
ঘটনার বিবরণে জানা যায় জনকল্যাণ সংঘ এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে এক বাড়িতে ভাড়া থাকতো এক দম্পতী৷ ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া ঐ মেয়ের বাবা কেটারিং এর কাজ করে৷ আর মা অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো৷ অভাব অনটনের সংসার তাও মেয়েকে নিয়ে ভালোই চলছিল৷ এরই মধ্যে অধিক অর্থ উপার্জনের লোভ জন্ম নেয় দম্পতির মনে৷ তাই বিগত বেশ কয়েকমাস ধরে নিজের ভাড়া ঘরে ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে দিয়ে অসামাজিক কাজ করাতে থাকে৷
প্রতিদিন এক যুবক এই ভাড়া ঘরে আসে৷ আর দিনের পর দিন দরিদ্র থেকে দম্পতী ক্রমশ বিত্তশালী হয়ে উঠতে থাকে৷ বিষয়টি নজরে আসে বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসীদের৷ তারা লক্ষ্য করে প্রতিদিন এক যুবক দম্পতির ভাড়া ঘরে আসে৷ বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীরা ওত পেতে বসে৷ তখন তারা দেখতে পায় প্রতিদিনের ন্যায় এক যুবক দম্পতির ঘরে প্রবেশ করেছে৷ এবং ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে৷ তখন স্থানীয়রা দম্পতির ভাড়া ঘরের দরজায় গিয়ে ঘরের দরজা খোলার জন্য বলে৷
ঘরের দরজা খুলতের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷ দম্পতির ঘরে আসা যুবক নগ্ণ অবস্থায় খাটের নিচে ঢুকে পরে৷ আর ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া ঐ ছাত্রী তরিঘড়ি বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নেয়৷ তখন স্থানীয়রা ঐ যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং দম্পতিকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে৷ এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহল এই ঘটনার জন্য ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীর মা-বাবাকে দায়ি করেছেন৷