নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ নভেম্বর৷৷ পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ৷ তাই পর্যটনের বিকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করার লক্ষ্যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে রাজ্য পর্যটন দফতর ৷ এতে আগামী দিনে নারকেলকুঞ্জে আগত পর্যটকরা রাত্রি যাপন করতে পারবেন ৷ গোমতি জেলা পর্যটন কেন্দ্র নারকেলকুঞ্জে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় ও পর্যালোচনাসভায় এ-কথাগুলি বলেন পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় ৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/75190466_2459408287427904_2722549996221104128_n.jpg)
কর্মসূচির শুরুতে তিনি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে নারকেলকুঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম ঘুরে দেখেন এবং যেখানে যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেগুলি ঠিক করে নিতে বলেন ৷ এর পর বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের ও নৌ-চালকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন ৷ সেখানে তিনি কৃষি তত্ত্বাবধায়ককে নারকেলকুঞ্জের সৌন্দর্যের জন্য আরও বেশি করে নারকেলের চারা লাগানোর নির্দেশ দেন ৷ সভায় পর্যটন কেন্দ্রটির রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধার্থে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
পর্যটনমন্ত্রী জানান, নৌকার সংখ্যা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকার নৌকা ক্রয়ে আগ্রহীদের ঋণের ব্যবস্থা করবে ৷ এছাড়া নারকেলকুঞ্জে পানীয়জল, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, বিদ্যুৎ, টয়লেট ইত্যাদির ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেন তিনি ৷ পর্যটনমন্ত্রীর কথায়, জনজাতিদের সুস্বাদু খাবার ও কুটিরশিল্পের সামগ্রীর দোকান দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের দফতর ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করে দেবে ৷ পর্যটন কেন্দ্রটিতে রাতে যাতে আলোর ব্যবস্থা থাকে তার জন্য সোলার লাইটের ব্যবস্থাও করা হবে ৷ এছাড়া বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেলে নারকেলকুঞ্জে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের বাগান করার জন্যও তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে উদ্যোগ নিতে বলেন ৷
তিনি বলেন, ডম্বুর জলাশয়কে ত্রিপুরার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং এখানকার জনজাতিদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যতনবাড়ি থেকে রাইস্যাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ তিনি ট্যুরিজ গাইডের জন্য এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের নাম প্রস্তাব করার জন্য সোসাইটির কাছে আবেদন রাখেন ৷ তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে পর্যটন দফতর ৷ তিনি বলেন, পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে আগামী কিছুদিনের মধ্যে কয়েকটি ওয়াটার সুকটারও আনা হবে ৷ কোনও পর্যটক যেন ডম্বুর জলাশয়ে বেড়াতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে না যান, সেদিকে নজর রাখতে তিনি আবেদন রাখেন ৷
এছাড়া মন্দিরঘাট থেকে নারকেলকুঞ্জ ও গণ্ডাছড়া থেকে নারিকেলকুঞ্জ নৌকা ভাড়ার নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করার জন্য তিনি করবুক ও গণ্ডাছড়ার দুই মহকুমাশাসককে নির্দেশ দেন৷ নারকেলকুঞ্জে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা সমাধানের জন্য পর্যটন দফতরের আধিকারিকদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন তিনি ৷ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বুর্বামোহন ত্রিপুরা, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, এমডিসি প্রতিরাম ত্রিপুরা, করবুক ও গণ্ডাছড়ার মহকুমাশাসকগণ, করবুক ও রইস্যাবাড়ি ব্লকের বিডিওগণ, পর্যটন দফতরের উপধিকর্তা আশিস দত্ত, সহ-অধিকর্তা মৃণাল দাস, পূর্ত, কৃষি, গ্রামোন্নয়ন, অমরপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ নারকেলকুঞ্জ সোসাইটির সদস্যগণ ৷