তিস হাজারি ও কড়কড়ডুমা আদালতের বার অ্যাসোশিয়নের নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর(হি.স.) : আইনজীবী ও পুলিশের সংঘর্ষের জেরে তিস হাজারি আদালত ও কড়কড়ডুমা আদালতের বার অ্যাসোশিয়নের নির্বাচন স্থগিত রাখা নির্দেশ জারি করল দিল্লি হাইকোর্ট৷ এই দুই আদালত চত্বরে আইনজীবী ও পুলিশের সংঘর্ষের জেরে  সোমবার তিস হাজারি আদালতে ধর্মঘটের ডাক দেয় আইনজীবী মহল৷ উল্লেখ্য, আগামী  ৫ নভেম্বর তিস হাজারি আদালত ও আগামী ৭ নভেম্বর কড়কড়ডুমা আদালতের বার অ্যাসোশিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। আপাতত এই ঘটনায় দু’টি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন স্থগিত রাখার আদেশ জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, পার্কিংকে কেন্দ্র করে তিস হাজারি আদালত চত্বরে পুলিশ-আইনজীবী খণ্ডযুদ্ধ হয়।  এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কড়কড়ডুমা আদালত চত্বর পুলিশ-আইনজীবী খণ্ডযুদ্ধ বাধে।

এদিকে তিস হাজারি কাণ্ডের জেরে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয় আইনজীবীরা। সেই অনুযায়ী এদিন সকাল থেকে দিল্লির কড়কড়ডুমা আদালত চত্বরে আইনজীবীরা আদালতের ভেতর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। একটি মামলায় নিজের বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য যখন এক পুলিশকর্মী আদালতে ঢুকতে যায়। তখন তাঁকে ধর্মঘটি আইনজীবীরা বাধা দেয়। শুরু হয় দুই তরফে বচসা। বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুই তরফে হাতাহাতি। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে ক্ষুদ্ধ আইনজীবীরা।

অন্যদিকে এদিন তিস হাজারি আদালত চত্বরে বিক্ষোভরত আইনজীবীদের সমর্থনে আসেন সিপিআই(এম) নেতা বৃন্দা কারাট। পুলিশের নিন্দায় মুখর হন এই বর্ষীয়ান বামপন্থী নেত্রী। আইনজীবীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তিনি। বৃন্দা কারাটের কাছে আইনজীবীরা অভিযোগ করেন যে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। এমন ভাঙচুর চালানো হয়ে আইনজীবীদের চেম্বারে। আইনজীবীদের পাও ভেঙে গিয়েছে। এদিন অল ইণ্ডিয়া ল-ইয়ার্স ইউনিয়ন জাতীয় সভাপতি বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ভাঙচুর হওয়া চেম্বারগুলি পরিদর্শন করেন। বিক্ষোভরত আইনজীবীদের সব ধরণের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *