পাক ভূমিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ইসলামাবাদ, ২ নভেম্বর (হি.স.) : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে এতদিন সেনার হাতের পুতুল বলত ভারত। এবার তাঁর নিজের দেশেই একথা শুনতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পাকিস্তানের সব বিরোধী দল তাঁকে তোপ দাগছেন সেনার হাতের পুতুল বলে। পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলির দাবি, “ইমরান খান নন, পাকিস্তানের সরকার পরোক্ষে চালাচ্ছে সেনা বাহিনী।” তাঁরা বলছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে ইমরানকে বসিয়েছে সেনা। জনগণের দ্বারা তিনি নির্বাচিত নন, বরং তিনি সেনাবাহিনীর নির্দেশিত প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়। যেদিকে, তাকানো যাবে সেদিকে শুধু মানুষ। প্রত্যেকের মুখে একটাই বুলি, আজাদি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই বিশাল বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানের ইসলামপন্থী নেতা মৌলানা ফজলুর রহমান। পাকিস্তানের সব বিরোধীদের একত্রিত করেছেন এই মৌলানা রহমানই। তাঁর আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে শামিল হয়েছে পাকিস্তানের দুই প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি। ফজলুর রহমানের এই র‍্যালিতে লক্ষ লক্ষ পাকিস্তানের আম নাগরিক অংশ নিয়েছেন। এই ব়্যালির নাম রাখা হয়েছে আজাদি মার্চ।

 এই ব়্যালি থেকে ফজলুর ইমরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী দুদিনের মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়বে বিক্ষোভকারীরা। তিনি জনসভায় বলেন, “পাকিস্তানকে শাসন করবে পাকিস্তানের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। কোনও সংস্থার দ্বারা আমরা পরিচালিত হতে রাজি নই। আপনার কাছে দু’দিন আছে তাঁর আগেই পদত্যাগ করুন। আমরা এর বেশি ধৈর্য্য দেখাতে পারছি না। মানুষ ঠিক করবে মানুষ কী করবে। আমরা কাকে ভোট দেব আমরা ঠিক করব। আমাদের ভোট ছিনতাই করা হয়েছে।”

এই র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতা শাহবাজ শরিফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারি। তাঁরা বলেন, “পাকিস্তানের সেনা ইমরান খানের সেনা নয়, পাকিস্তানের সেনা শুধু পাকিস্তানের মানুষের সেনা। আমরা আমাদের সেনাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে চাই। দ্রুত আমরা এই প্রধানমন্ত্রীকে ছুঁড়ে ফেলে দেব।”