ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস রাজ্যেও পালিত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ অক্টোবর ৷৷ আজ থেকে ৩৬ বছর আগে আজকের দিনেই নিজের দেহরক্ষীর হাতে মৃত্যু হয়েছিল জওহরলাল নেহেরুর কন্যা দেশ নেতৃ ইন্দিরা গান্ধির৷ এই দিনটিকে জাতীয় সংহতি দিবস হিসাবে পালন করা হয়৷ মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হল দিল্লিতে৷ দিল্লিতে শক্তিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান, সোনিয়া গান্ধি ও মনমোহন সিং৷

জাতীয় সুরক্ষা, অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও বিদেশনীতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইন্দিরা গান্ধির প্রচুর অবদান রয়েছে৷ সমস্ত দেশবাসীকে ভালোবাসার জন্য তিনি চিরস্মরণীয়৷ টুইটারে ইন্দিরা গান্ধিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কংগ্রেস৷ এদিকে রাজ্যেও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে শ্রদ্ধার সহিদ স্মরণ করা হয়৷ এদিন রাজধানীর প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে প্রয়াত ইন্দিরাজীর প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল রায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন, সুবল ভৌমিক, বিশিষ্ট আইনজীবী পিযূষ কান্তি বিশ্বাস সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা৷

সেখান থেকে তারা গান্ধিঘাটে গিয়ে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন৷ একদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পিযূষ কান্তি বিশ্বাস জানান, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি এই দেশের শান্তি ও অখন্ডতাকে বজায় রাখার জন্য নিজের প্রাণ দিয়েও চেষ্টা করে গেছন৷ পাকিস্তানের মদতে পাঞ্জাবে খলিস্থানি নামক একটি উগ্রবাদী সংগঠন পাঞ্জাবকে আলাদা রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল৷ পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরকে ব্যবহার করা তারা ঘাটি তৈরি করেছিল৷

প্রয়াতা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাজী জানতেন এই স্বর্ণমন্দির তাদের হাত থেকে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে উদ্ধার করা হলে উনার জীবন বিপথ হতে পারে৷ তথাপি দেশের অখন্ডতাকে নিজের জীবনের থেকেও অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি সেনাবাহিনীকে লাগিয়ে উগ্রবাদীদের হাত থেকে স্বর্ণমন্দিরকে মুক্ত করেন৷ ফলশ্রুতিতে নিজের দেহরক্ষী বিয়ন্ত সিং গুলির আঘাতে উনাকে প্রাণ দিতে হয়৷ দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী ইন্দিরাজীর দেশের জন্য অবদান অনস্বীকার্য৷


৩১শে অক্টোবর দেশের ১ম মহিলা প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধির মৃত্যু দিবস৷ এই দিবসটি সংহতি দিবস হিসেবে সারা দেশে পাড়িত হচ্ছে৷ এমনি একটি দিনে ৩১শে অক্টোবর ১৯৮৪ সালে নিজ দেহরক্ষীর গুলির আঘাতে তিনি প্রাণ দিয়েছিলেন৷ রাজ্যেও প্রদেশ কংগ্রেস বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *