বিজ্ঞান ও গণিতে আগ্রহ বাড়াতে নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ অক্টোবর৷৷ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে নবম শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এমর্মে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে৷ মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের সরকারী, বেসরকারী, সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত এবং সেন্ট্রাল সুকলের ছাত্রছাত্রীদের এই স্কলারশিপের আওতায় আনা হবে৷ মোট ছাত্রছাত্রীর ১৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে ১৫ মাসের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হবে৷


শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ সোমবার এই সংবাদ দিয়ে জানিয়েছেন, অল ইন্ডিয়া টেলেন্ট সার্চ এক্সামিনেশনে অংশগ্রহণ করার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ মূলতঃ ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ে তথা বিজ্ঞান ও গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই এই পদক্ষেপ৷ এই দুটি বিষয় যাতে ছাত্রছাত্রীরা একাদশ শ্রেণীতে নিতে পারে তারজন্য এই পরিকল্পনা৷


শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের সুকলগুলিতে বর্তমানে নবম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে ৭৫ হাজার ১৩৪ জন ছাত্রছাত্রী৷ এর মধ্যে সরকারী সুকলে ৬৫ হাজার ১৮৪ জন, সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত সুকলে ৩ হাজার ৮৯২ জন, সেন্ট্রাল সুকলে ৮২২ জন এবং বেসরকারী সুকলে ৫ হাজার ২৩৬ জন ছাত্রছাত্রী নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে৷ আজকের তারিখে ১০-১১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মাত্র এই দুটি বিষয় বাছাই করে৷ কিন্তু এখন থেকে নতুন প্রকল্পে ১৫ শতাংশ তথা প্রায় ১১হাজার ২৭০ জন ছাত্রছাত্রীকে স্পেশাল কোচিং দেওয়া হবে সপ্তাহে চার ঘন্টা লাগাতর ১৫ মাস৷


এর জন্য অভিভাবকরা শিক্ষকদের বাছাই করতে পারবেন যেখানে তাদের ছেলেমেয়েদের এক্সট্রা ক্লাস দিতে চান৷ এবং এর জন্য ওই শিক্ষককে ৫০০ টাকা প্রতি ঘন্টার জন্য দেওয়া হবে৷ সেই সাথে ছাত্রছাত্রীদেরও ১৫ মাস পর্যন্ত প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে৷ এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ৯ হাজার ৫৫০ টাকা৷ রাজ্য সরকার এই মর্মে পরীক্ষা নেমে আগামী ডিসেম্বরে৷


শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, একবার যদি কোন ছাত্রছাত্রী অল ইন্ডিয়া টেলেন্ট সার্চ এক্সামিনেশনে উত্তীর্ণ হয়ে যান তালে ওই ছাত্রছাত্রী একদাশ শ্রেণীতে এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত অবস্থায় প্রতিমাসে ১২৫০ টাকা পাবে, স্নাতক স্তরে পাবে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা এবং এই বৃত্তি জারি থাকবে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট ডিগ্রীতেও৷ প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে ২০১৬ সালে ১২০০ ছাত্রছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছিল পরীক্ষার জন্য৷ কিন্তু পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ৯৩৩ জন৷

পাশ করেছে ১০৬ জন এবং পরবর্তী পর্য্যায়ের জন্য কেউই কোয়ালিফাইড হয়নি৷ অনুরূপভাবে ২০১৭ সালে নথিভুক্ত হয়েছিল ১৪২৭ জন, পরীক্ষায় বসেছিল ১২১৮জন এবং পাশ করেছে ১০৩জন৷ পরবর্তী পর্য্যায়ে কেউ যেতে পারেনি৷ যদিও ত্রিপুরার জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে৷ ২০১৮ সালে নথিভুক্ত হয়েছিল ১১১০ জন৷ পরীক্ষা দিয়েছে ৯১৭ জন এহাবং পাস করেছে ১১৭ জন৷ তখন কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরার কোটা বাড়িয়ে ৫০ করেছিল৷ কিন্তু দেখা গিয়েছে সেবছর মাত্র পাঁচজন পরবর্তী পর্য্যায়ে যেতে পেরেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *