তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতিতে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার কান্ড, উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৫ অক্টোবর ৷৷ তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলা ও খামখেয়ালিপনার কারণে সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে৷ দক্ষিণ পুলিনপুর এলাকার বিনোদ দাসের স্ত্রী সম্পা দাসকে বৃহস্পতিবার রাতে তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে প্রচণ্ড প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি করানো হয়৷ চিকিৎসক ও নার্সরা উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবার ও আত্মীয়পরিজনরা৷ আবারও তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনরা৷ এবার সদ্যজাত শিশুমৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ মিলেছে৷


ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তেলিয়ামুড়ার দক্ষিণ পুলিনপুর এলাকার বাসিন্দা বিনোদ দাসের স্ত্রী সম্পা দাসকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷ প্রচণ্ড প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন ওই প্রসূতি মা৷ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা সঠিকবাবে দায়িত্ব পালন করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে৷ সম্পাকে ভর্তি করার পর কোন ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি৷ যন্ত্রণায় কাতর সম্পা হাসপাতালের শয্যাতেই সন্তান প্রসব করতে থাকে৷ পরিবারের লোকজনরা বিষয়টি কর্তব্যরত নার্সকে জানান৷ তখনই কর্তব্যরত নার্স এসে সম্পাকে লেবার রুমে নিয়ে যায়৷ খবর দেওয়া হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরজিৎ দাসকে৷ তিনি যখন আসেন তখন শিশুটি প্রসব হয়ে গিয়েছিল৷ প্রকৃতপক্ষে প্রসবের পরপরই সদ্যজাত শিশুটির মৃত্যু হয়৷ তাতে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরজিৎ দাস জানান, শ্বাসকষ্টজনিত কারণেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে৷ চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি৷


কর্তব্যরত নার্স গাফিলতির অভিযোগ খারিজ করেছে৷ কর্তব্যরত নার্স জানান, পরিবারের লোকজনরা বলার সঙ্গে সঙ্গেই রোগীকে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এমনকি চিকিৎসককে জরুরি তলব করা হয়৷ কিন্তু শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি৷ এদিকে পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ চিকিৎসক ও নার্সরা সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করলে শিশুটিকে বাঁচানো যেত৷ তাদের গাভিলতিতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে৷ এনিয়ে তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে হইহুল্লোড় শুরু হয়৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়৷ পরিস্থিতি শামাল দিতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসে৷


পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ মৃত সদ্যজাত শিশুটিকে হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ময়না তদন্তের পর শিশুটির দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়৷ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার হাল ফেরাতে স্থানীয় মানুষজন জোরালো দাবি জানিয়েছেন৷