নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ অক্টোবর৷৷ বাংলাদেশ সরকার উত্তর ত্রিপুরার পালবস্তি (রাঘনা) এবং ধলাই-এর কমলপুরে সীমান্তহাট নির্মাণের জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জারি করেছে৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে দুটি সীমান্তহাট চালু রয়েছে৷ এদের একটি দক্ষিণ ত্রিপুরার শ্রীনগরে এবং অপরটি সিপাহিজলা জেলার কমলাসাগরে৷ ওই দুই সীমান্তহাট সপ্তাহে একবার যথাক্রমে মঙ্গল এবং রবিবার বসে৷ রাঘনা এবং কমলপুরে আরও দুটি নতুন সীমান্তহাট নির্মাণের বিষয়টি বাংলাদেশের শ্রীহট্টে ২০১৯ সালের ২৩ থেকে ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জয়েন্ট কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছিল৷ ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের জয়েন্ট হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটি ইতিমধ্যে কমলপুরে ১.৩৬ একর এবং পালবস্তিতে ১.৯২ একর জমি চিহিণত করেছে৷

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে গত ৫ অক্টোবর বিষয়টি আবার তুলে ধরা হয়৷ রাজ্য সরকারের তদ্বিরের ফলে বাংলাদেশ সরকার এই নো অবজেকশন সার্টিফিকেটটি প্রদান করেছে৷ এখন মহকুমাস্তরে পার্চেজ কমিটির মাধ্যমে চিহিণত জমিগুলি ক্রয় করা হবে৷ প্রয়োজনীয় অর্থ ইতিমধ্যে ধলাই এবং উত্তর ত্রিপুরার সংশ্লিষ্ট জমি অধিগ্রহণ সমাহর্তার কাছে প্রদান করা হয়েছে৷ আরও দুটি নতুন সীমান্তহাট স্থাপনের প্রস্তাব রয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়ার রাধানগর ঘোষখামার এবং খোয়াইয়ের বেলছড়ায়৷
রাধানগর ঘোষখামারে হাটের জন্য দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা এবং বাংলাদেশের কুমিল্লার আধিকারিকরা ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত স্থান দেখে এসেছেন৷ এর জন্য জয়েন্ট কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশে এখনও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত হয়নি৷ আর খোয়াইয়ে সীমান্তহাটের স্থান জেলা প্রশাসন চিহিণত করেছে৷ কিন্তু বাংলাদেশের সাথে যৌথ পরিদর্শন এখনও হয়নি৷ ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে মোট ছয়টি সীমান্তহাট স্থাপন করা হবে৷ বর্তমানে দুটি সীমান্তহাট ভালোভাবেই চলছে এবং ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে৷ এই হাট স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যদ্রব্যের চিরাচরিত বাজারিকরণের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করছে৷

