নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ অক্টোবর৷৷ পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের হাতে খুন হতে হল বৃদ্ধ পিতাকে৷ ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগর আউট পোস্ট এলাকায়৷ ঘটনার পর থেকে ছেলে পলাতক৷ এ ঘটনায় শুক্রবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে অভিযুক্ত ছেলে দেবাশীষ দাসের (৩৫) সাথে তার পিতা স্বপন দাসের (৬০) পারিবারিক কলহ চলতে থাকে৷

শুক্রবার সকালে তা চরম আকার ধারণ করে৷ একটা সময়ে পুত্র তার পিতার আঘাত করে৷ পিতার মৃত্যু হয়৷ এমনটাই অভিযোগ উঠে পুত্র দেবাশীষ দাসের বিরুদ্ধে৷ অভিযুক্ত পুত্র দেবাশীষ দাসকে গ্রেপ্তার করতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে৷ এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
গতকাল রাতে টাকা-পয়সার ঝামেলা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে সাব্রুমের মনু বাজার থানাধীন শ্রীনগর আউট পোস্টের অধিনে থাকা মাধব নগর এলাকায় এক নরপিশাচ ছেলে কাঠের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তার জন্মদাতা পিতাকে৷ গতকাল রাতে মাধবনগরের নারায়ন পাড়ার বাসিন্দা ৬০ বছরের দিনমজুর স্বপন দাসকে তারি ৩৫ বছরের ছেলে দেবাশীষ দাস পিটিয়ে হত্যা করে৷ এলাকা সূত্রে খবর, টাকা পয়সার লেন-দেন নিয়ে শুরু হয় তাদের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ৷
জানা গিয়েছে, স্বপন দাসের নিজ বাড়ি ছিল উদয়পুর৷ সেখানে প্রথমে একটি বিয়ে করেছিলেন৷ এরপর সাব্রুমের মাধবনগরে এসে দ্বিতীয় আরেকটি বিয়ে করেন৷ প্রথম ঘরের এক ছেলে ও এক মেয়ে ছিলো৷ দ্বিতীয় ঘরেও এক ছেলে ও এক মেয়ে৷ তিনি দিনমজুরি কাজ করেন৷ তিনি সাব্রুমের মাধভ নগরের বাড়িতে দ্বিতীয় সংসারে থাকতেন৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত স্বপন দাসের বৌ দীপালি দাস কয়েক মাস আগে বেসরকারি একটি সংস্থা আশা থেকে আরআইএন নিয়েছিলো এবং ছেলে দেবাশীষ আর একটি বেসরকারি সংস্থা বন্ধন থেকে আরআইএন নিয়ে একাট অটো কিনেছিল৷ টাকা পয়সার নিয়ে প্রায়দিন ঝামেলা লেগেই থাকে৷ গতকাল এই ঝামেলা চরম আকারন ধারন করেন৷ জানা গিয়েছে, ছেলে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে খাটের স্টেন্ড দিয়ে প্রচন্ড মারধর করে তার বাবাকে৷ পরে স্বপন দাসের স্ত্রী তাকে বাইরে নিয়ে তালা মেরে দেয়৷
সকাল বেলা ৮টা নাগাদ স্ত্রী থানাতে খবর দেয়৷ খবর পেয়ে সাব্রুমের এসডিপিও ও মনুবাজার থানার ওসি ছুটে গিয়ে মৃতদেহটি শ্রীনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মর্গে নিয়ে আসেন৷ খবর পেয়ে প্রথমা সংসারের ছেলে-মেয়েরা ছুটে আসে৷ এই ব্যপারে পুলিশ দেবাশীষ দাসকে গ্রেপ্তার করে৷ শেষ মুহুর্তের খবর মৃত দেহের পোস্টমের্টেমের পর পুলিশ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়৷

