নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ অক্টোবর৷৷ কমিউনিস্টরা দেশপ্রেমিক হিসাবে নিজেদের প্রমাণ করতে চাইছে৷ তাই দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কমিউনিস্টদের ভূমিকা ছিল বলে জোর গলায় দাবি করলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত৷ শুধু তাই নয়, আরএসএসের গায়ে দেশদ্রোহী ল্যাবেল সেঁটে দেওয়ার চেষ্টাতেও কোন কসুর রাখলেন না তিনি৷ তাঁর দাবি, ভারত সরকার আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল৷ এদিকে, বিপ্লবী চেতনা থেকে কোনও ভাবেই কমিউনিস্টদের হঠানো যাবে না বলে দাবি করলেন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷ তাঁর সাফ কথা ফ্যাসিস্ট কায়দায় কমিউনিস্টদের দমিয়ে রাখা যাবে না৷

বৃহস্পতিবার আগরতলা টাউন হলে সিপিএমের একশ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করা হয়৷ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ কারাত বলেন, ভারতের স্বাধীনতার সময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ছিল কমিউনিস্টরা৷ যদিও তখন আরএসএসের কোন ভূমিকা ছিল না৷ কারণ, আরএসএসের মূল এজেন্ডা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা৷ তারা হিন্দু ও মুসলীমের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করত৷ আর তাই এই সংগঠনটিকে নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যথার কারণ ছিল না ব্রিটিশদের৷ ব্রিটিশরাও চাইত ভারতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন৷ কিন্তু, ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কংগ্রেস সরকার আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল৷ যদিও, ভারত স্বাধীন হওয়ার আগেই কমিউনিস্টদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের তরফ৷ কারণ স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কমিউনিস্টরা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল৷
এদিকে, এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার বলেন, সিপিএম দলের একশ বছর নেহাত কম নয়৷ এই দীর্ঘ পথ অনেক বেশী লড়াই সংগ্রামের ছিল৷ রক্তভেজা পথ ছিল৷ বহু কর্মী, নেতা, দরদী শহীদ হয়েছেন৷ কেউ পতাকা হাতে নিয়ে, কেউ পতাকার নীচে নিজেকে বলিদান করেছেন৷ কমিউনিস্টদের আন্দোলন বিপ্লবী চেতনা সর্বদাই জীবীত থাকবে৷ তবে, দেশের মধ্যে ফ্যাসিস্ট কায়দায় কমিউনিস্টদের দমন করার চেষ্টা হচ্ছে৷ তবে, এই চেষ্টা সফল হবে না বলেও মানিক সরকার দাবি করেন৷ এদিনের সভায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশও বক্তব্য রাখেন৷ তাছড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজন ধর সহ অন্যান্য কমিউনিস্ট নেতৃত্ব৷

