দক্ষিণ শালমারা (অসম), ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : এক প্রবীণ দম্পতি বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন ভারতে, তাঁদের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কদিন কাটাবেন বলে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত ভারতেই তাঁদের একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। ঘটনা বরপেটা জেলার দাঁতেরগুড়ি গ্রামে ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি বছর ৭৭-এর মহম্মদ মিঞাচাঁদ। তিনি গত ১৩ তারিখ রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর মিঞাচাঁদের মৃতদেহ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে সীমান্ত পার করে তাঁর পরিবারবর্গের হাতে তুলে দিয়েছে দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলা প্ৰশাসন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির এপার এবং ওপারের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে শোক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের কুড়িগ্ৰাম জেলার রৌমারি থানার শোলমারি এলাকার কলেজপাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহম্মদ মিঞাচাঁদ তাঁর ৪২ বছর বয়সি পত্নী জয় ভানুকে সঙ্গে নিয়ে বরপেটা এসেছিলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভিসা নিয়ে অসমের মানকাচরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে ভারতে এসেছিলেন তাঁরা। দক্ষিণ শালমারা মানকাচর জেলায় তাঁর এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে একদিন থাকার পর বরপেটা জেলায় আত্মীয়ের বাড়ি যান দুজনেই। জেলার বিভিন্ন স্থান ভ্ৰমণ করার পর গত ১৩ অক্টোবর তিনি বরপেটা জেলার দাঁতেরগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা জনৈক সরবেশ আলির বাড়ি যান। সরবেশের বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গেছে, উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে ভুগছিলেন মহম্মদ মিঞাচান্দ।
পরের দিন তাঁর আত্মীয় সরবেশ আলি ঘটনার খবর দেন বরপেটা পুলিশকে। পুলিশ যোগাযোগ করে দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলা প্ৰশাসনের সঙ্গে। দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলা প্ৰশাসন মৃত ব্যক্তি ও তাঁর পত্নীর ভিসা ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে মানকাচরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাহাপাড়া গেট দিয়ে পত্নী জয় ভানু-সহ মহম্মদ মিঞাচাঁদের মৃতদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।