নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ অক্টোবর৷৷ সূচনাতেই কিস্তিমাত৷ বিসর্জন কার্নিভালে মেতে উঠলেন আগরতলাবাসী৷ নাচে, গানে, জমকালো আয়োজনে শিহরিত হয়েছেন উপস্থিত সকলেই৷ ত্রিপুরায় এই প্রথম দূর্গা প্রতিমা বিসর্জনেও উৎসবের আয়োজন হয়েছে৷ আগরতলায় প্যারাডাইস চৌমুহনীতে অস্থায়ী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মাই ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রাম মাধব বিসর্জন কার্নিভালের সূচনা করেন৷

এদিন দুপুর তিনটা থেকেই প্যারাডাইস চৌমুহনীতে মানুষ ভিড় করতে শুরু করেন৷ দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই মানুষের উপস্থিতির হার ক্রমেই বাড়তে থাকে৷অনুষ্ঠান যখন শুরু হয়েছে তখন পোস্ট অফিস চৌমুহনী পর্যন্ত রাস্তার দুই ধরে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে৷ এই কার্নিভাল প্রত্যেকটি মুহুর্ত সবাই উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য বেশ কয়েকটি জায়ান্ট স্ক্রিনও লাগানো হয়েছে৷
এদিকে, আরক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব আয়োজন করা হয়েছে৷ পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপার অজিত প্রতাপ সিং এবং ট্রাফিক পুলিশ সুপার পিনাকী সামন্ত দুজনেই দাঁড়িয়ে থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন৷ শুধু তাই নয়, রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা রাজীব সিং সমস্ত কিছুর তদারকি করছিলেন৷
আজ সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান দিয়ে বিসর্জন কার্নিভালের সূচনা হয়েছে৷ সুকল পড়ুয়া মেয়েদের নৃত্য প্রদর্শনী সকলের মন ছুঁয়ে নিয়েছে৷ তাছাড়া, প্রতিটি ক্লাব নিজস্ব কায়দায় নাচে-গানে এই কার্নিভালের পরিবেশ আনন্দমুখর করে তুলেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার এবং রাম মাধব প্রতিটি ক্লাবের সম্পাদক ও সভাপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন৷
আয়োজক কমিটির সদস্য ভিক্টর সোম বলেন, এত অল্প সময়ে কাজটা সম্পন্ন করা যাবে, তা ভেবে এখনো স্বপ্ণ মনে হচ্ছে৷ তিনি বলেন, মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি৷ তবু, সমস্ত বাঁধা কাটিয়ে এই অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সকলের কাছে তোলে ধরতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছি৷ তাঁর কথায়, আয়োজক কমিটির চেয়ারপারসন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক সহ প্রত্যেকের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রথমবার বিসর্জন কার্নিভাল মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে৷ তিনি জানান, আগরতলায় ২৮টি ক্লাব অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক বলে আবেদন জানিয়েছে৷ তবে, কার্নিভাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা মুশকিল, কত ক্লাব এই উৎসবে অংশ নিয়েছে৷

