দুর্গোৎসবে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দশমীর দিনই প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ পশ্চিম ত্রিপুরায় গ্রামীণ এলাকায় ১৪৮টি এবং শহরাঞ্চলে ৪০৪টি দুর্গাপূজা হবে৷ তবে, দশমীর দিনেই প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে৷ কোনও অতিরিক্ত সময় এ-বছর দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমের পুলিশ সুপার অজিতপ্রতাপ সিং৷ এতে, পুরনো ঐতিহ্য এ-বছর ফিরে আসবে বলেই মনে হচ্ছে৷ কারণ, বছরখানেক আগেও দশমীর দিন সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন ক্লাব ও বাড়িঘরের পূজার দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হত দশমীর দিনই৷ তাঁর সাফ কথা, দুগর্োৎসবের আনন্দে যাতে কোনও বাধা না পরে, সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷


আজ ট্রাফিক পুলিশ সুপার পিনাকী সামন্তকে সাথে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার বলেন, বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা ত্রিপুরায় জাতি-উপজাতির মেলবন্ধন হিসেবেই বহুকাল ধরে পরিচিত৷ তাই, উৎসবের দিনগুলিতে ত্রিপুরার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জননিরাপত্তার খাতিরে প্রতি বছরের মতো এ-বছরও বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, প্রতিটি ক্লাবকে ইতিমধ্যে অবগত করা হয়েছে পূজার আয়োজনে এবং প্যান্ডাল নির্মাণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে৷ তাছাড়া, পূজামণ্ডপ-সহ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থাতেও কোনও ত্রুটি রাখা যাবে না৷


এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে পশ্চিম জেলায় ২,০০০ পুলিশ কর্মী দুর্গা পূজার দিনগুলিতে জননিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন৷ তবে এর সংখ্যা বাড়তেও পারে বলে তিনি অনুমান করছেন৷ তিনি আরও জানান, আগরতলা শহরে ৪০টি পুলিশ বুথ এবং ২০টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে৷ সাথে তিনি বলেন, ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে সিসিটিভি বসানো হবে৷ পুলিশ সুপারের কথায়, প্রতিটি ক্লাবকে নিজেদের প্যান্ডালে সিসিটিভি বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে৷ কারণ, নজরদারি রাখার ক্ষেত্রে সিসিটিভি খুবই জরুরি৷ তাঁর দাবি, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে, এতে মানুষ নিরাপদে পূজার আনন্দ নিতে পারবেন৷


পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার আজ সাফ জানিয়েছেন, বিসর্জনে অতিরিক্ত দিনের অনুমতি এ-বছর দেওয়া হবে না৷ দশমীর দিনই প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে সকলকে৷ তাঁর কথায়, প্রতিমা নিরঞ্জনে দশমীর দিন নির্দিষ্ট রাস্তা স্থির করে দেওয়া হয়েছে৷ তাতে সকলেই দশমীর আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন৷ তাঁর দাবি, প্রতিমা নিরঞ্জনের পুরনো ঐতিহ্য এ-বছর ফিরে আসবে৷ এতে পুরনো ঐতিহ্য এ-বছর ফিরে আসবে বলেই মনে হচ্ছে৷ কারণ, বছরখানেক আগেও দশমীর দিন সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন ক্লাব ও বাড়িঘরের পূজার দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হত দশমীর দিনই৷ কিন্তু, গত কয়েক বছরে বড় বাজেটের পূজা দশমীর দিন বিসর্জন দেওয়া হয় না৷ ওই তালিকায় আগরতলা শহরের প্রচুর নামি ক্লাব রয়েছে৷ তাই, দশমীর দিনেই প্রতিমা নিরঞ্জনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কিনা সেই প্রশ্ণ উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷


এদিকে, ট্রাফিক পুলিশ সুপার পিনাকী সামন্ত বলেন, দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে সন্ধ্যার পর থেকে যাতায়াতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে৷ সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু রাস্তা দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে অনুমতি ছাড়া যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে না৷ তবে, সকলেই যাতে পূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সে দিকে খেয়াল রেখেই ওই আয়োজন করা হচ্ছে৷ এদিন তিনি সতর্ক করে দেন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷