নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ২৯ সেপ্টেম্বর৷৷ ঊষাবাজারে দলবদ্ধ ধর্ষণের ক্ষত এখনও শুকিয়ে যায়নি৷ এরই মধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় এক গৃহবধূ নগ্ণ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ পুলিশের ধারনা, গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটে তাকে খুন করা হয়েছে৷

এদিন উদয়পুরের খিলপাড়া এলাকার এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ আর কে পুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার স্বামী নতুন বাজারে একটি ইটভাট্টায় ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছেন৷ প্রতিমাসে দুই দিনের বাড়ি আসেন৷ আজ তিনি বাড়ি ফিরে ঘড়ে তালা দেখে মনে করেন তার স্ত্রী হয়তবা প্রতিবেশীর কালিপুজোতে গেছেন৷ এই ভেবে তিনি বাজারে চলে যান৷ কিন্তু, বাজার থেকে ফিরেও স্ত্রীকে না দেখে কিছুটা চিন্তিত না হলেও তখন তিনি ওই এলাকায় নিজের বোনের বাড়িতে চলে যান৷ ঘন্টা খানেক বাদে বাড়ি ফিরে ঘড়ের দরজায় তালা দেখে তিনি তার স্ত্রীকে খোঁজাখুজি শুরু করেন৷ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে তিনি তার স্ত্রীকে নগ্ণ অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে এই ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেয়৷ পুলিশ আসার পর জানতে পারেন ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে৷ খবর পেয়ে উদয়পুর এসডিপিও শাস্বত কুমার, আর কে পুুর মহিলা থানার ওসি আলপনা সরকার ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোমতী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ তদন্তের স্বার্থে ডগস্ স্কোয়াডও আনা হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার গলায় কালো দাগ রয়েছে৷ ধারনা করা হচ্ছে, গলা টিপে তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ তবে, পুলিশের অনুমান গণধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে৷
এই ঘটনায় উদয়পুর জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ণ উঠেছে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে৷ ভর সন্ধ্যায় এক গৃহবধূকে নিজ বাড়িতেই খুন হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ ধর্ষণের পর মহিলাকে খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি উঠেছে৷ পুলিশের দাবি, ওই ঘটনা রহস্যজনক৷ ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে৷ এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ৷

