নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ গভীর সংকট দেখা দিয়েছে ত্রিপুরা কংগ্রেসে৷ পিসিসি সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোরের ইস্তফা দেওয়ার সাথে সাথেই কংগ্রেসের উপজাতি শাখার শীর্ষ নেতৃত্বরাও পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন৷ বুধবার প্রদেশ কংগ্রেসের এসটি শাখার নয়জন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন৷ এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে এসটি শাখার চেয়ারম্যান শচীন্দ্র দেববর্মার নেতৃত্বে নয়জন পদাধিকারী দলের কাছে পদ এবং প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা তুলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন৷

এ-বিষয়ে শচীন্দ্রবাবু বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ড ত্রিপুরার সমস্যা নিয়ে কখনও মনোযোগ দেননি৷ বিধানসভা নির্বাচনের পর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সাফল্য শুধুমাত্র প্রদ্যুৎ কিশোরের একক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে৷ তবুও এনআরসি ইস্যুতে প্রদ্যুৎ কিশোরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড৷ তিনি সরাসরি এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক তথা ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা লুইজিনহো ফেলেরিওকে নিশানা করে বলেন, প্রদ্যুৎ কিশোরের পিসিসি সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে তিনি চাপ দিয়েছেন৷
এদিন তিনি জানান, সারা ত্রিপুরায় কংগ্রেসের শাখা সংগঠনগুলির কর্মকর্তারাও ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন৷ দ্বৈত মানসিকতার রাজনীতি সম্ভব নয়, তাই কংগ্রেস ছেড়ে দেওয়ায় উচিত বলে মনে করছি আমরা, ক্ষোভের সুরে বলেন শচীন্দ্র দেববর্মা৷
প্রদেশ কংগ্রেসের উপজাতি শাখার সাধারণ সম্পাদক দীনেশ দেববর্মা বলেন, প্রদ্যুৎ কিশোরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে৷ তাই এর প্রতিবাদে গণ-ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা৷ তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরায় কংগ্রেসে কোনও একতা নেই৷ দলের প্রবীণ নেতারা বরাবরই নগ্ণ দলবাজি এবং একে অপরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে থাকেন৷ এই পরিস্থিতি প্রদ্যুৎ কিশোর মেনে নিতে পারছিলেন না৷ তাছাড়া কংগ্রেস হাইকমান্ডও প্রদ্যুৎ কিশোরকে সহযোগিতা করছিলেন না৷ তাই তাঁর ইস্তফার সাথেই আমরাও দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বলেন তিনি৷ তাঁর দাবি, আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে প্রচুর কংগ্রেস কর্মকর্তা দল ছেড়ে দেবেন৷ তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই নতুন দল গঠন করার চিন্তাভাবনা চলছে৷ কংগ্রেস ছাড়লেও রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছি না, সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিদ্রোহী নেতারা৷

