নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ আগামী দশ বছরের মধ্যে নীরমহল পর্যটন কেন্দ্রকে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্রে উন্নীত করতে চাই৷ নীরমহল ও রুদ্রসাগরের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করে পর্যটনের বিকাশের মধ্য দিয়ে এরাজ্যের মানুষের রোজগারের ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে৷ আজ মেলাঘর রাজঘাটে নীরমহল জল উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী রাজস্থানের জল মহলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন সেখানে যদি পর্যটনকে ভিত্তি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করা যায় তাহলে নীরমহলে কেন তা সম্ভব হবে না৷

তিনি বলেন, এখানকার মানুষের ভাগ্য ভালো এখানে নীরমহল আর রুদ্রসাগরের মত অমূল্য সম্পদ রয়েছে৷ এখানকার প্রাক’তিক সৌন্দর্য পর্যটকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে৷ এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বছরে একশ কোটি টাকা রোজগার করা সম্ভব৷ কিন্তু পূর্বতন সরকার এব্যাপারে বিশেষ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি৷ আমরা সরকারে এসেই পর্যটন শিল্পের বিকাশে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নীরমহলে থিস্টার হোটেল নির্মাণ সহ স্পীড বোট, হাউস বোট তৈরী করে পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণ করে নীরমহলকে আন্তর্জাতিক পর্যটন ক্ষেত্রে স্থান করে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, প’াশের দশক থেকেই রুদ্রসাগরের উন্নয়নে পূর্বতন সরকার এবং রুদ্রসাগর উদ্ধাস্ত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি পরিকল্পনা মাফিক ফলপ্রসুু কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি৷ তিনি বলেন, ধানচাষ, মাছচাষ এবং পর্যটন একসঙ্গে হয় না৷ তার জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা গ্রহণ প্রয়োজন৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রুদ্রসাগরে হাঁস পালন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে স্ব-রোজগারের একটি মাত্র পথ আমরা দেখিয়েছি৷ পর্যটনের বিকাশ ঘটলে রোজগারের আরও বহু সুুযোগ সৃষ্টি হবে৷ তিনি বলেন, লক্ষ্য এবং আদর্শ ঠিক রেখে দায়িত্ব নিয়ে সঠিক দিশায় কাজ করলে সাফল্য আসবেই৷ রাজ্যের বিদ্যৎ পরিসেবার আধুনিকীকরণে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন৷
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি বিধায়ক সুুভাষ দাস আলোচনায় বলেন, রুদ্রসাগরে হাইবিড মাছ চাষের জন্য ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ দ্রত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন৷
অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি ত্রিপুরা ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম মজমদারও পর্যটনের বিকাশের মধ্য দিয়ে এরাজ্যের মানুষের কর্ম সংস্থানের সুুযোগ সৃষ্টির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক সি কে জমাতিয়া৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেলাঘর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন উত্তম দাস৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সদস্য রতন দাস, মেলাঘর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন সুুপাঙ্ক সরকার, সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুুপার ক’ষ্ণেন্দ চক্রবর্তী, পর্যটন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা অভিজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ৷

