কংগ্রেসের ডাকা কৈলাসহর বন্ধে বিক্ষিপ্ত হিংসা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্য দিয়ে কৈলাসহরে কংগ্রেসের ডাকা ২৪ ঘণ্টার বনধ পালিত হচ্ছে৷ অ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুর, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তাণ্ডব এবং চেয়ার টেবিল ভাঙচুর, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার-সহ একাধিক ঘটনাকে ঘিরে কৈলাসহর কিছুটা উত্তপ্ত ছিল বৃহস্পতিবার৷ প্রায় দেড়শো কংগ্রেস কর্মীকে পিকেটিং করার সময় গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা আজকের বনধ সর্বাত্মক সফল বলে দাবি করেছেন৷


প্রসঙ্গত, সাত দফা দাবির ভিত্তিতে ঊনকোটি জেলা কংগ্রেস আজ ২৪ ঘণ্টা কৈলাসহর বনধ-এর ডাক দিয়েছিল৷ সে মোতাবেক সকাল ছয়টা থেকে কৈলাসহরে বনধ পালিত হচ্ছে৷ এই বনধকে ঘিরে দোকানপাট, বাজারহাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সুকল কলেজ ও সরকারি অফিস কার্যত বন্ধ ছিল৷ এদিন রাস্তায় কোনও বেসরকারি গাড়ি যাতায়াত করেনি৷


কৈলাসহর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই বনধকে ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ টিএসআর ছাড়াও কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীকেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তবে, আজকের বনধকে ঘিরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে৷
ঊনকোটি জেলা পুলিশ সুপার লাকি চৌহান জানান, বনধ চলাকালীন বড় ধরনের ঘটনা না ঘটলেও বিক্ষিপ্ত ঘটনায় পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত ছিল৷ তিনি জানান, এদিন কংগ্রেসের পিকেটাররা বনধ চলাকালীন স্বাস্থ্য দফতরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে৷ তাছাড়া কাচেরঘাট অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে গিয়ে তাঁরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ওই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের চেয়ার-টেবিল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা৷ শুধু তা-ই নয়, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সাথেও তাঁরা দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷


কৈলাসহর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিন বনধ-এর সমর্থনে পিকেটিং করতে গিয়ে সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ গ্রেফতার হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা৷ এর কিছুক্ষণ পর কৈলাসহর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ বদরুজ্জমান গ্রেফতার হন৷ তাঁদের পুরাতন টাউন হল ও নেতাজি কর্নারে দুটি অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়েছে৷ তিনি জানান, প্রায় দেড় শতাধিক পিকেটার্সকে এদিন গ্রেফতার করেছেন তাঁরা৷


এদিকে, সন্ধ্যার পরও কৈলাসহর মহকুমা শুনশান হয়ে রয়েছে৷ বনধকে ঘিরে পিকেটিং বা হইচই না থাকলেও মহকুমাবাসী কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না৷ তাই চারিদিক নিস্তব্ধ৷