নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ মঙ্গলবার ব্রাউন সুগার-সহ এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে৷ সন্দেহভাজন আরও এক যুবককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে৷ তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই যুবকের পরিচয় গোপন রেখেছে৷ আগরতলার প্রগতি রোডের ঘটনা৷

এদিন সকালে এক যুবকের কাছ থেকে ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ ধৃত যুবক তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ছুটে এসে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে৷ পুলিশের কথায়, এক যুবকের কাছে একটি ছোট কৌটায় ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে৷ তবে, ওই ব্রাউন সুগারের পরিমাণ মেপে দেখা হয়নি৷ এদিকে, সন্দেহভাজন আরও এক যুবককে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে৷ পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশের দাবি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সমস্ত তথ্য বেরিয়ে আসবে৷
স্থানীয় জনগণের বক্তব্য, আজ সকালে ওই দুই যুবককে প্রগতি রোডে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে৷ তাদের চালচলনে সন্দেহ হওয়ায় এলাকাবাসী মিলে দুজনকেই মেহের কালীবাড়িতে নিয়ে যান৷ সেখানেই পুলিশ এসে তাদের আটক করেছে৷ তাদের দুজনের পকেটে তল্লাশি চালিয়ে একটি কৌটায় ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে৷ জনৈক এলাকাবাসীর কথায়, ধৃত দুই যুবকের মধ্যে একজনের বাড়ি অ্যাডভাইজার চৌমুহনিতে৷ তবে তার পরিচয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন কেউ৷
এদিকে, পুলিশ কেন তাদের পরিচয় গোপন রেখেছে, সে-বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷ কারণ, নেশা সামগ্রী পাচারের সাথে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ কর্মীরা দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন৷ এ ঘটনায় এ-রকম কিছু রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে৷
বিলোনীয়া সংযোজন ঃ দক্ষিণ জেলার বিলোনীয়া মহকুমার রাজনগর ব্লক এলাকা থেকে পুলিশ সাতচল্লিশ কেজি শুকনো গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা৷
রাজনগর পিআর বাড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি কমল কর চৌধুরী রাজনগর এলাকার ঘন জঙ্গল থেকে এই গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তিনটি প্লাস্টিকের কন্টেনারে ভর্তি ছিল এই গাঁজা৷ তবে কে বা কারা এই গাঁজা সেখানে মজুত রেখেছিল, সেই ব্যাপারে পুলিশ কাউকেই আটক করতে পারেনি৷

