নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বাম সমর্থিত কাউন্সিলার বিপদবন্ধু ঋষি দাস আক্রান্তের ঘটনায় শুক্রবার আড়ালিয়ার পঞ্চবটি এলাকায় পথ অবরোধ করেন তাঁর সমর্থকরা৷ তাঁরা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ এই অবরোধের ফলে নিত্যযাত্রীরা ভীষণ সমস্যায় পড়েন৷ খবর পেয়ে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে অবরোধস্থলে ছুটে যায়৷ বিপদবন্ধু ঋষি দাসের আক্রান্তের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন৷
গণেশ বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝামেলাকে ঘিরে আক্রান্ত হন বাম সমর্থিত কাউন্সিলার বিপদবন্ধু ঋষি দাস৷ বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টা নাগাদ তিনি পূর্ব আগরতলা থানার অধীন আড়ালিয়ার পঞ্চবটি এলাকায় তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ তাঁর বাইকও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে৷ গতকাল রাতেই তাকে জিবি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে৷ তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে৷
বিপদবন্ধু ঋষি দাসের সমর্থকদের দাবি, মেয়েকে শিক্ষকের বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় আড়ালিয়ার পঞ্চবটি এলাকায় শাসকদল সমর্থিত দুষৃকতীরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে৷ দুষৃকতীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে৷ এতে তিনি মাথা ও শরীরের নানা আঘাত পেয়েছেন৷ দুষৃকতীরা তাঁর বাইকও ভাঙচুর করেছে৷ তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনগণ ছুটে আসেন৷ তখন দুষৃকতকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়৷ স্থানীয় জনগণই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, বলেন তাঁর সমর্থকরা৷
এদিকে, রাজ্যে শাসক দলের সমর্থকদের দাবি, গণেশ বিসর্জনের সময় লাইনের মাঝখানে বাইক ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বিপদবন্ধু ঋষি দাস৷ তখন ঝামেলা হয়েছিল৷ কিন্তু, কেউ তাঁকে মারধর করেনি৷ বাইক থেকে পড়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি৷ এর পর তাঁকে জিবি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে৷
রাতের ঘটনার রেশ আজ সকালে আছড়ে পড়ে আড়ালিয়ার পঞ্চবটি এলাকায়৷ সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ বাম সমর্থিত কাউন্সিলার বিপদবন্ধু ঋষি দাসের সমর্থকরা পঞ্চবটি এলাকায় পথ অবরোধ করেন৷ শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ এই অবরোধের কারণে নিত্যযাত্রীরা ভীষণ সমস্যায় পড়ে যান৷ কারণ, অফিসে কিংবা ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু অবরোধের কারণে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা৷ অবরোধকারীরা প্রচণ্ড উত্তেজিত স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাই কেউ অবরোধ ভেদ করে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাননি৷
এদিকে খবর পেয়ে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ অবরোধকারীদের অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান পূর্ব আগরতলা থানার ওসি মানিক দাস৷ কিন্তু তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহারের বদলে বিপদবন্ধু ঋষি দাসকে মারধরের ঘটনায় দোষীকে গ্রেফতারের দাবি জানান৷ পুলিশ দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন৷