
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে দুয়ের বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ অন্তত, রাজ্য বিধানসভায় গৃহমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে এমনটাই প্রমাণ মিলেছে৷ ত্রিপুরায় আত্মহত্যার এই প্রবণতা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে হচ্ছে৷
সোমবার রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে প্রশ্ণোত্তর পর্বে সিপিএম বিধায়ক রতনকুমার ভৌমিকের প্রশ্ণের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানান, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ মে পর্যন্ত রাজ্যে ৯৮২টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ এর মধ্যে ৩০৭ জন মহিলা এবং ৬৭৫ জন পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন৷ তিনি আরও জানান, ওই ঘটনাগুলির মধ্যে ১৮টি আত্মহত্যার ঘটনা পণের জন্য হয়েছে৷ তার মধ্যে ১৮টি পণ সংক্রান্ত মামলা নথিভুক্ত হয়েছে৷
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে স্পষ্ট, প্রতিদিন গড়ে দুটিরও বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ শুধু তা-ই নয়, প্রতিবছরই মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি থাকছে৷ কিন্তু, পুরুষদের অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করে পুলিশ কোনও তদন্তই করছে না৷
স্বাভাবিকভাবেই আত্মহত্যার জন্য প্রকৃত কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কখনও মিটছে না৷ শুধু তা-ই নয়, আত্মহত্যাজনিত সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না৷ মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কথায়, আত্মহত্যা এক প্রকার মানসিক ব্যাধি৷ আর্থিক অনটন, পারিবারিক অশান্তি, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া কিংবা প্রেমে আঘাত পেয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷ ফলে, এই সমস্যা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা খুবই জরুরি হয়ে উঠেছে৷
আজ বিধানসভায় বিধায়ক রতনকুমার ভৌমিকের অতিরিক্ত প্রশ্ণের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোমতি জেলায় অতীন্দ্র রিয়াং এবং শান্তিরবাজারে রাকেশ ধরের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা খুন নাকি আত্মহত্যা এ-সংক্রান্ত তথ্য এখনই তাঁর কাছে নেই৷ তবে, তিনি তা সংগ্রহ করে বিধানসভাকে অবগত করাবেন বলে জানিয়েছেন৷

