নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ আগস্ট৷৷ ত্রিপুরায় বেকারত্ব মোকাবিলায় মালিকগোষ্ঠিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা৷ তাঁর কথায়, রেগা নির্ভরশীল অর্থনীতির বদলে স্বনির্ভরতার মানসিকতা তৈরি করতে হবে৷ এ-ক্ষেত্রে দক্ষ কারিগর গড়ে তুলার পাশাপাশি ত্রিপুরায় কাজের সুযোগ বাড়াতে হবে৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/09/IMG-799001-Dy-CM.jpg)
শনিবার আগরতলায় প্রজ্ঞা ভবনে টিআরএলএম এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে এমপ্লয়ার্স মিট আয়োজিত হয়েছে৷ তাতে, ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংস্থার কর্তারা অংশ নিয়েছেন৷ সারাদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় হয়েছে৷
এদিন এমপ্লয়ার্স মিট উদ্বোধন করে উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত হোন৷ ত্রিপুরা সরকার সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে৷ আপনারাও প্রস্তুতি নিন৷ তাঁর কথায়, বেকার যুবক-যুবতীরা ত্রিপুরার বাইরে যাচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অল্প বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন৷ তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে কাজ করতে গিয়ে যথেষ্ট বেতন তারা পাচ্ছেন না৷ তবুও তাঁদের ওই কষ্ট সহ্য করতেই হবে৷ তবেই তাঁরা স্বরোজগারী হয়ে উঠতে পারবেন, বলেন তিনি৷ সাথে তিনি যোগ করেন, এ-ক্ষেত্রে প্রকল্প রূপায়ন এজেন্সিগুলিকেও দায়িত্ব নিতে হবে৷
উপ-মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, হসপিটাল, বিউটি পার্লার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ গঠনের প্রচুর সুযোগ রয়েছে৷ তাতে, ত্রিপুরারও প্রগতি হবে৷ তিনি আক্ষেপ করেন বলেন, পূর্বতন সরকারের আমলে শুধু রেগার উপর মানুষ নির্ভরশীল থাকতেন এবং পুকুর কাটা তাঁদের মূল লক্ষ্য ছিল৷ সেই রেগা নির্ভর অর্থনীতি বদলাতে চাইছে ত্রিপুরা সরকার, দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বলেন তিনি৷
তাঁর দাবি, বর্তমান যুগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হওয়া খুবই জরুরি৷ কারণ, দক্ষতার উপর নির্ভর করে এখন বেতন নির্ধারিত হয়৷ তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকায় মানুষের দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে৷ কারণ, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষতা বিকাশের ফলে ৭০ শতাংশ কর্মসংস্থান নিশ্চিত হচ্ছে৷
এদিন তিনি বলেন, আজকের এই কর্মসূচী স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেপে নিতে ত্রিপুরা সরকারকে সহায়তা করবে৷ কারণ, সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয়তা পূরণে তা খুবই জরুরি বলে দাবি করেন তিনি৷ তাঁর দাবি, স্থানীয় বাজার আকারে ছোট হতেই পারে৷ কিন্তু, ওই বাজারগুলিকে অবহেলা করা কোনভাবেই উচিৎ হবে না৷ তাই, এ-বিষয়ে ত্রিপুরা সরকার একাধিক প্রস্তাব নাবার্ড-কে পাঠিয়েছে৷
এদিন টিআরএলএম সিইও সুধাকর সিন্ডে বলেন, যুব প্রজন্মের দক্ষতা বিকাশ এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে দীন দয়াল উপাধায় গ্রামীণ কৌশল যোজনায় গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের সাথে আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালের মধ্যে সংগঠিত ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৫০০ মিলিয়ন যুবক-যুবতীদের দক্ষতার প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করেছে৷