![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/DSC_2128-1024x683.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ আগস্ট৷৷ গত ২৭ আগস্ট ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার মোহনপুর মহকুমার কামালঘাট এলাকায় অবস্থিত ইকফাই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্র-গোষ্ঠীর মধ্যে সংগঠিত সংঘর্ষের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই৷ এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছে ছাত্র সংগঠনটি৷ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ঘটনার নিন্দা জানান ছাত্র সংগঠনের ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি বাপি দাস৷
বাপির অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আগে থেকে এ-ধরনের ঘটনাবলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন, তা-হলে এত ভয়ংকর রূপ ধারণ করত না৷ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা নাকি জানতে পেরেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে এ-ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়মিত ঘটত৷ ছাত্রছাত্রীরা এ-সব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিকবার৷ কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন, যার পরিণতিতে এই ঘটনা৷
এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দাবি জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সব ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সমান দৃষ্টিতে দেখার জন্য৷ ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও সুনিশ্চিত করার দাবি জানান বাপি দাস৷
অপরদিকে , আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত এনএসইউআই-এর ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটি সহ-সভাপতি সম্রাট রায় অভিযোগ করে বলেন, এখনও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা ইকফাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার ভরসা পাচ্ছেন না৷ তাই তাঁরা ত্রিপুরা ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ি চলে যাচ্ছেন৷ তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আবার ফিরিয়ে এনে শিক্ষা সম্পূরণ করার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সুনিশ্চিত করতে হবে৷
পাশাপাশি সম্রাট রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেও দায়ী করেছেন৷ তিনি বলেন, সরকারকে সঠিকভাবে নজরদারি চালাত, তা-হলে রাজধানীর উপকণ্ঠে অবস্থিত এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা কখনওই ঘটত না৷ তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তাঁদের নজরে আসলে গতকাল প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিরজিৎ সিনহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে যান৷ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং দাবি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য এবং ত্রিপুরা-সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে এখানে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি একশো শতাংশ সুনিশ্চিত করতে৷