![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/DSC_2101-1024x683.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ আগস্ট৷৷ রাজ্যে ডিওয়াইএফআই-এর মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় সাত লক্ষের মত৷ এঁদের মধ্যে অনেকেই ভোট দেননি৷ যদি ভোট দিতেন, তবে বামফ্রন্ট আবার ক্ষমতায় আসত৷ বৃহস্পতিবার ডিওয়াইএফআই-এর উদ্যোগে আয়োজিত ’গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে এবং কাজের দাবিতে কনভেনশন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিআইএম-এর পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার৷
মানিক সরকার বলেন, ২০১৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দল, বিশেষ করে বিজেপি সম্পূর্ণ কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে বলেছিল, ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে ৫২ হাজারের বেশি শূন্য পদ রয়েছে৷ সেই সঙ্গে তারা বলেছিল, রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে এক বছরের মধ্যে এই সব শূন্যপদ পূরণ করা হবে৷ নির্বাচন শেষে বিজেপি সরকার গঠন করে ক্ষমতায় এসেছে৷ প্রায় ১৭ মাস হয়ে গিয়েছে, এক বছর পাঁচ মাসের বেশি হয়েছে, কিন্তু কতজন বেকারের চাকরি হয়েছে, প্রশ্ণ তুলেছেন তিনি?
মানিক সরকার বলেন, বামফ্রন্টের এক বিধায়ক বিধানসভায় প্রশ্ণ তুলেছিলেন, বিধাসভা নির্বাচনের পর কতজনের চাকরি হয়েছে? এই প্রশ্ণের উত্তরেও ৫২ হাজার বেকারের তথ্য দিতে পারেনি বর্তমান সরকার৷ আসলে নির্বাচনের আগে কিছু যুবককে বিভ্রান্ত করে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে, দেশের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে উড়িয়ে এনে লম্বা-চওড়া ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছিল৷ এর ফলে রাজ্যের বেকার ও বড় অংশের মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে, বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার৷
আগরতলা টাউন হল-এ আয়োজিত কনভেনশনে মানিক সরকার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফআই ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক নবারুণ দেব-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্য-সদস্যাগণ৷