জনপ্রতিনিধিরাই জনগণকে স্বরাজ ও সুরাজ দিতে পারেন : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ আগস্ট৷৷ আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নং হলে ত্রিপুরা জিলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য- সদস্যাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্টিত হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সদ্য প্রয়াত অরুণ জেটলির স্মৃতির উদ্দেশ্যে ২ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷


শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷ পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের নবনির্বাচিত ১৭ জন সদস্য-সদস্যাদের শপথ বাক্য পাঠ করান পঞ্চায়েত দপ্তরের অর্ধিকর্তা আর কে নোয়াতিয়া৷ এরপর একটি সভার মাধ্যমে নবনির্বাচিত সদস্য-সদস্যাগণ অন্তরা দেব সরকারকে সভাধিপতি এবং হরিদুলাল আচার্যকে সহ-সভাধিপতি নির্বাচিত করেন৷ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান পঞায়েত অধিকর্তা আর কে জমাতিয়া৷


উদ্বোধকের ভাষণে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র পথ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা৷ তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এক ত্রিপুরা সুন্দর ত্রিপুরা গড়ার সঙ্কল্প নিয়েছেন৷ গ্রামে কাজ পৌঁছে দিয়ে, উন্নয়ন পৌঁছে দিয়ে আমাদের এই দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ তিনি বলেন৷

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার বার গ্রাম স্বরাজ অভিযানের কথা বলেন, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই সাধারণ জনগণকে স্বরাজ ও সু-রাজ দিতে পারে৷ এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটের অধিকাংশই গ্রাম ও গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে ব্যয় হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন৷ তিনি আরও বলেন, যে সমাজ এবং সরকার একইসঙ্গে কাজ করলে তবেই সফলতা আসবে৷ পঞ্চায়েত হলো উন্নয়নের মাধ্যম৷ মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে উন্নয়নে গতি আনতে আহ্বান জানা মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা৷


অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস, বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরী, খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্ট আচার্য, এডিএম তপন কুমার দাস সহ অন্যান্যরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *