![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/DHR-COURT-FASHI.PNG.png)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ আগস্ট৷৷ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল সাত বছরের ফুটফুটে এক শিশু কন্যাকে৷ ওই বর্বরোচিত ঘটনায় দোষীর ফাঁসির সাজা হয়েছে৷ ঘটনার ১১ মাসের মাথায় বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দোষীকে চরম শাস্তি প্রদান ঐতিহাসিক ঘটনা বলে দাবি করছে আইনজ্ঞ মহল৷
সাতবছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত গৌতম তাঁতিকে আজ বুধবার উত্তর ত্রিপুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক গৌতম সরকার ফাঁসির সাজা দিয়েছেন৷ হৃদয়বিদারক এই ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের রায়ে ওই শিশুর পরিবার ভীষণ খুশি৷
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্ঢেম্বর উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন মহেশপুরের শীতলটিলা এলাকায় সাতবছরের এক ফুটফুটে শিশু কন্যাকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল৷ ঘটনার আগে ওই শিশুটিকে বাড়ি থেকে ঢেকে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক৷ এর পর থেকে ওই শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না৷ তিনদিন পর পার্শবর্তী একটি জঙ্গল থেকে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ ওই ঘটনায় অভিযুক্ত গৌতম তাঁতিকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২/৩৭৬-এ/৩৭৬-বি এবং পোকসো আইনের ৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিশ তদন্ত সমাপ্ত করে আদালতে চার্জশিটও জামা দেয়৷ এর সাথে সমস্ত প্রমাণ আদালতে পেশ করে পুলিশ৷ দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যবাক্য গ্রহণের পর আজ উত্তর ত্রিপুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত গৌতম তাঁতিকে সাত বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেন৷
নৃশংস এই কাজের জন্য বিচারক গৌতম সরকার দোষী গৌতম তাঁতিকে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ফাঁসির সাজা দেন৷ এছাড়া ৩৭৬-এ/৩৭৬-বি এবং পোকসো আইনের ৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন৷ আদালতের রায় ঘোষণার পর ওই শিশু কন্যার বাবা বলেন, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে না তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে৷ তার কন্যার আত্মা আজ শান্তি পেয়েছে বলে তিনি আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷