মুখ্যমন্ত্রীর কড়া দাওয়াই পেয়ে মুদ্রা ঋণ প্রদানে নমনীয় হচ্ছে ব্যাঙ্ক

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ আগস্ট৷৷ মুদ্রা ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যের লিড ব্যাঙ্ক ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রাজ্যের সবক’টি ব্রাঞ্চের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা সংগঠিত করেছে৷ রবিবার ব্রাঞ্চ লেভেল সভা অনুষ্টিত হয় ত্রিপুরা রিজিওন্যাল অফিসে৷ ব্যাঙ্কের শাখাগুলিকে নিয়ে বৈঠক শেষে রিজিওন্যাল অফিসার আনন্দ কুমার জানান, যারা মুদ্রা ঋণের জন্য আবেদন করে থাকেন তাদের দ্রুত কিভাবে ঋণ প্রদান করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷


কোন ধরনের গ্যারান্টার ছাড়াই মুদ্রা ঋণ প্রদানের সংস্থান রয়েছে বলে তিনি জানান৷ শিশু, কিশোর এবং যুবক এই তিন পর্যায়ে মুদ্রা ঋণ প্রদান করা হয়৷ এক্ষেত্রে যে ব্যবসা কাজে ঋণ নিয়ে থাকে তার প্রাথমিক কিছু শর্ত পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ঋণ প্রদান করা হয় বলে জানান তিনি৷ উল্লেখ্য মুদ্রা ঋণ প্রদাণ নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির তালবাহানায় যারপরানই ক্ষুব্ধ খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি রাজ্যের লীড ব্যাঙ্ক ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে স্পষ্টভাবে বার্তা দিয়েছেন তারা যদি মুদ্রা ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে গাফিলতি করে তাহলে লীড ব্যাঙ্কের মর্যাদা হারাতে হবে৷


ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে রীতিমতো অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেননা তারা মুদ্রা ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রেও গ্যারান্টার চাইছে৷ অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোন গ্যারান্টার লাগবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও মুদ্রা ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে এধরনের তাল বাহানায় রাজ্য সরকার রীতিমতো ক্ষুব্ধ৷ রাজ্য সরকার বেকারদের স্বরোজগারী করে তোলার জন্য মুদ্রা ঋণের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে উৎসাহিত করতে চাইছে৷ কিন্তু ব্যাঙ্কগুলি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে৷


বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত না হলে রাজ্যের সিডি রেসিও বাড়বে না৷ রাজ্য সরকার যখন সিডি রেসিও বাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির অসহযোগিতায় রীতিমতো অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যবাসী৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে রাজ্যের লীড ব্যাঙ্ক অবশেষে মুদ্রা ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় মনোভাব গ্রহণ করতেই সবক’টি শাখার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে মনে করছেন অনেকেই৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *