বন্যায় বেহাল মহারাষ্ট্রে মৃত্যু বেড়ে ৪৩, দুর্গতদের জন্য ৬৮১৩ কোটি টাকা আর্থিক ঘোষণা দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের

মুম্বই, ১৩ আগস্ট (হি.স.): বন্যায় ভয়াবহ অবস্থা মহারাষ্ট্রের| গৃহহীন কয়েক লক্ষ মানুষ| ধীরে ধীরে জল নামছে মহারাষ্ট্রে| কিন্তু, মৃত্যু থামছে না| মহারাষ্ট্রের পুণে ডিভিশনের পাঁচটি জেলায় (সাংলি, কোলহাপুর, সাতারা, পুণে এবং সোলাপুর) বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৩| এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেই ৩ জনের| নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে ৫৮৪টি গ্রামের ৪,৭৪,২২৬ জন বন্যা দুর্গতকে| এছাড়াও বন্যা দুর্গতদের জন্য বন্যা কবলিত পাঁচটি জেলায় ৫৯৬টি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে|

প্রবল বর্ষণের জেরে বেহাল অবস্থা পুণে জেলার পাঁচটি জেলার, যথাক্রমে সাংলি, কোলহাপুর, সাতারা, পুণে এবং সোলাপুরের| মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুণে ডিভিশনের বন্যা কবলিত পাঁচটি জেলায় এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে| এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৩ জনের| ৫৪৮টি গ্রামের ৪,৭৪,২২৬ জন বন্যা দুর্গতকে উদ্ধার করা হয়েছে| খোলা হয়েছে ৫৯৬টি অস্থায়ী ত্রাণ শিবির|

মহারাষ্ট্রে ধীরে ধীরে জল নামলেও, উদ্ধারকাজ অব্যাহত হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-এর| বন্যা কবলতি পাঁচটি জেলাতেই চলছে উদ্ধারকাজ| প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) জানিয়েছেন, ‘বন্যা দুর্গতদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে| রাজাপুর এবং রাজাপুর ওয়াড়িতে গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ২.৫ টন রেশন| দুর্গতদের জন্য মেডিক্যাল টিমও পাঠানো হয়েছে|’

মহারাষ্ট্রে বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ| বৈঠক শেষে বন্যা দুর্গতদের জন্য ৬৮১৩ কোটি টাকা আর্থিক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী| কোলহাপুর, সাংলি এবং সাতারার জন্য ৪৭০৮ কোটি টাকা| এছাড়াও কোঙ্কান রিজিওন, নাসিক ও অন্যান্য বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজনের জন্য ২১০৫ কোটি টাকা আর্থিক ঘোষণা করা হয়েছে| মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রী দফতর (সিএমও)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা নিজেদের এক মাসের বেতন মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করবেন| এদিনই মহারাষ্ট্র বন্যার প্রেক্ষিতে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আর্থিক সাহায্য করেছে ঔরাঙ্গাবাদা জেলা সমবায় দুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *