ব্যালট পেপার ফেরানোর কোনও প্রশ্নই নেই, জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

কলকাতা, ৯ আগস্ট (হি. স.) : কলকাতায় পা রেখেই ব্যালট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ইভিএমের বদলে ব্যালট ফিরিয়ে আনার জন্য জোর সওয়াল করছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেও তিনি এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারী দেন। শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দেন, ইভিএমে আর ভোট নয়, ব্যালট ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনে আন্দোলন করা হবে। কিন্তু কমিশন যে ব্যালট ফেরাতে নারাজ তা সুনীল অরোরার কথাতেই স্পষ্ট।
ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ শুধু তৃণমূল নয়, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলও তুলেছে বারবার। ইভিএমে কারচুপি করেই প্রতিবার নির্বাচনে জিতছে বিজেপি, এমন অভিযোগও শোনা গিয়েছে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এমনকী সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের গলাতেও। অনেকে ব্যালটে ভোট করানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে সমর্থন করেছেন। এবিষয়ে কমিশন কী ভাবছে? শুক্রবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেন, ‘ব্যালট পেপার অতীত। ব্যালট পেপার ফেরানোর কোনও প্রশ্নই নেই। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ আছে।’

দু’দিনের সফরে আজ কলকাতায় এসেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ও উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ জৈন। বাংলায় এনআরসি চালু করা নিয়েও মুখ খুলেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।  রাজ্যে এনআরসি চালু হবে না, এমন ইঙ্গিত অবশ্য মেলেনি সুনীল অরোরার কথায়। তাঁর কথায়, ‘বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আগে শীর্ষ আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতে দিন। তার আগে কিছু বলতে পারব না। অসমের জন্য সময় নির্ধারিত করে দিলেও পশ্চিমবঙ্গের জন্য সুপ্রিম কোর্ট এখনও পর্যন্ত রায় দেয়নি| সেক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা নিষ্প্রয়োজন”, জানিয়েছেন অরোরা। একাধিকবার বাংলায় এনআরসি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

সূত্রের খবর, সকালে  তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে গ্র্যান্ড হোটেলে আসেন। এর পর সল্টলেকে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুডিশিয়াল সায়েন্সেসে এক আলোচনাচক্রে যোগ দেন | শনিবার সকালে ১১ টায় জোকায় আইআইএম -এর একটি আলোচনাচক্রে যোগ দিতে যাবেন। সেখান থেকেই দিল্লি যাওয়ার জন্য চলে যাবেন দমদম বিমানবন্দর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *