কলকাতা ও নয়াদিল্লি, ৭ আগস্ট (হি.স.): দেশের প্রতিটি জনগণকে শোকস্তব্ধ করে অকালেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ।মঙ্গলবার রাতে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুষমা স্বরাজ। তড়িঘড়ি তাঁকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। মঙ্গলবার রাতেই শোকপ্রকাশ করে মমতা জানিয়েছেন, ‘গভীর শোকাহত, সুষমা স্বরাজজীর অকস্মাৎ প্রয়াণে স্তব্ধ। ১৯৯০ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলেও, সংসদে বহু সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি আমরা। অসাধারণ রাজনীতিক, নেত্রী, ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁকে আমরা চিরকাল মনে রাখব।’ শোকপ্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও, শোকবার্তায় রাহুল জানিয়েছেন, ‘সুষমা স্বরাজজীর মৃত্যু সংবাদ শুনে শোকস্তব্ধ, অসাধারণ রাজনৈতিক নেত্রী ছিলেন তিনি, একজন ভালো বক্তা এবং ব্যতিক্রমী সাংসদ ছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।’
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/Mamata-Rahul-1024x576.jpg)
রাজনীতিতে ভিন্ন মেরুতে থেকেও সুষমা ও মমতা, দু’জনের সুসম্পর্ক ছিল সুবিদিত। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের পরে কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। সম্প্রতি দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন সুষমা। তিনি কথা বলেন পরিবারগুলির সদস্যদের সঙ্গে। পরে সুষমা বলেন, ‘‘মমতার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয়। বিরোধী নেত্রী থাকার সময়ে মমতা একবার আমাকে বলেছিলেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ায় তাঁদের সমর্থকদের হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। মমতা নিজেও একাধিকবার হিংসার শিকার হয়েছেন। সেই মমতা ক্ষমতায় এসে এ ভাবে বদলে যেতে পারেন, ভাবতে পারছি না।’’ জীবনাবসানের আগে সর্বশেষ মমতার উদ্দেশ্যে এই বার্তায় দিয়েছিলেন সুষমা স্বরাজ।