ঋণ প্রদানে জালিয়াতি, দুই ব্যাঙ্ক কর্মীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিল জনতা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ আগস্ট৷৷ বেসরকারি ব্যাঙ্কে ঋণ প্রদানে জালিয়াতির ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল৷ তবে, পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও, জালিয়াতির ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি উঠেছে৷ অভিযুক্ত দুই ব্যাঙ্ক কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ জনতা৷
আরবিএল ব্যাঙ্কের তেলিয়ামুড়া শাখায় তিন মাস আগে ঋণের আবেদন জানিয়েছিলেন চাকমাঘাটের বাসিন্দা দিব্যেন্দু দাসের স্ত্রী বাসনা দাস৷ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ প্রসেসিং ফি বাবদ ১,৫০০ টাকা জমা দিতে বলেছিলেন তাঁকে৷ কিন্তু, সেই টাকা সময়মতো জমা দিতে না পারায় তাঁর ঋণের আবেদন বাতিল করে দেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ বাসনা দাস জানিয়েছেন, প্রগতি গ্রুপের মাধ্যমে আরবিএল ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের আবেদন জানিয়েছিলাম৷ কিন্তু, প্রসেসিং ফি সময়মতো জমা দিতে না পারায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঋণের আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন৷


তিনি জানান, সম্প্রতি অন্য ব্যাঙ্কে ঋণের আবেদন জানিয়েছিলাম৷ কিন্তু, তখন ওই ব্যাঙ্ককে জানানো হয়েছে, আমার নামে একটি ঋণ নেওয়া হয়েছে এবং ওই ঋণের কিস্তির টাকা সময়মতো মেটানো হচ্ছে না৷ তিনি বলেন, এ-বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, রেখা দেবনাথ ওই ঋণ নিয়েছেন৷ তবে, আরবিএল ব্যাঙ্কে তাঁর জমা দেওয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে রেখা দেবনাথ ঋণ পেয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি ঋণের কিস্তির টাকাও সময়মতো মিটিয়ে দিচ্ছেন না৷


বাসনা দাস বলেন, আরবিএল ব্যাঙ্কের ঋণ শাখার দুই কর্মী মণিশংকর দাস এবং শুভজিৎ দেবনাথ ওই জালিয়াতির সাথে যুক্ত রয়েছেন৷ কারণ, তাঁদের এলাকাবাসী ঘেরাও করে জিজ্ঞাসাবাদে কাগজপত্র হেরফেরের বিষয়টি তারা স্বীকার করেছেন৷ ওই ঘটনায় পুলিশে খবর দেওয়া হলে, বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ তিনি বলেন, দুই ব্যাঙ্ককর্মীকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়৷ কিন্তু, ঋণ মঞ্জুরের অজুহাতে কাগজপত্রের হেরফেরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ব্যাঙ্ক কর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন বাসনা দাস৷ তিনি বলেন, তদন্ত করলে এমন জালিয়াতির আরও ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে৷ তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *