নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ জুলাই৷৷ সিপিআইএম নেতা গৌতম দাসের মানহানি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা বর্তমান মন্ত্রী রতনলাল নাথকে আদালত অব্যাহতি দিয়েছে৷ মানহানি মামলায় কোনও তথ্য-প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে প্রমাণিত হয়নি৷ তাই, আজ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক সর্বজিৎ চৌধুরী ওই মামলা নিস্পত্তি করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সিপিএম-এর কোনও অবদান ছিল না, তবুও তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার সে-দেশের সম্মাননা নিজেদের প্রাপ্তি হিসেবে গ্রহণ করেছিল৷ তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সেই সম্মাননা নিজে গ্রহণ করেছিলেন৷ রাজ্যের অবদান নয়, নিজেদের অবদান ছিল, এই দাবিতে তিনি ওই সময় বাংলাদেশের সম্মাননা গ্রহণ করেছিলেন৷ তৎকালীন বিরোধী দলনেতা তথা বর্তমান মন্ত্রী রতন লাল নাথ এই অভিযোগ করেছিলেন৷ সাথে তিনি আরও বলেছিলেন, সিপিএম নেতা গৌতম দাসের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ রয়েছে৷ কারণ, তিনি প্রায়ই বাংলাদেশে যাতায়াত করেন৷ তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ওই সম্মাননার ব্যবস্থা করেছিলেন৷ ওই সমস্ত বিষয় সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেছিলেন রতন লাল নাথ৷ এর পরই সিপিএম নেতা গৌতম দাস রতন লাল নাথ এবং স্থানীয় এক দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছিলেন৷
২০১২ সালে গৌতম দাস তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ ধারার ওই মামলা করেছিলেন দাস৷ এর পর থেকে আদালতে শুনানি শুরু হয়৷ বাদি-বিবাদি উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন আদালত৷ তাছাড়া, বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছে৷ আজ ওই মামলায় চূড়ান্ত শুনানির আদালত অভিযুক্তদের সমস্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে৷ আদালত থেকে বেরিয়ে রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির কোনও প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন অভিযোগকারী৷ কারণ, ওই সময় সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের সম্মাননা নিয়ে প্রকৃত সত্যই তুলে ধরেছিলাম৷ তাই, আজ আদালত মানহানির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন৷