
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জুলাই৷৷ রাজনৈতিক সংর্ঘষে উত্তপ্ত কদমতলা৷ বেধরক মারপিট এক মহিলাকে৷ ঘটনা কদমতলা ব্লক এলাকার বাগান গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝেরঝেরি এলাকায়৷গতকাল রাজ্যব্যাপী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন বাগন গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝেরঝেরি এলাকার ২ নং ওয়ার্ডে ঘটে এই ঘটনা৷ বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে বিজেপি কর্মীদের উপর সিপিএম ও কংগ্রেস আশ্রিত দুষৃকতীরা তাদের বাধা দেয় ও বিজেপিকে ভোট দিতে বারণ করে৷ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে বাম ঘাঁটি বলে পরিচিত৷ এক কথায় বিধায়ক ইসলাম উদ্দিনের খাস তালুক৷ সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মের নামে রাজনীতি করে আসছে সিপিএম৷
গতকালও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে৷ কংগ্রেস, সিপিএম একত্রিতভাবে অঘোষিত লড়াই করলেও প্রার্থী দেওয়া হয়েছে উভয় দলেরই৷ একই এলাকাতে বিজেপি প্রার্থী সংখ্যালঘু হিসাবে দাঁড় করানো হয় এক যুবককে৷ কিন্তু ধর্মের নামে অন্ধ মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দিতে নারাজ৷ তাই ঝেরঝেরি সহ কুর্তি এলাকায় সংখ্যালঘু মুসলিম মহিলাদের বিজেপিকে ভোট দিতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে৷তারপরও যদি বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয় তাহলে চরম আকার ধারণ করবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় তাদের ধর্মীয় সমাজ৷ ঘটলও তাই৷
গতকাল চারটা নাগাদ ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিল বিজেপি সমর্থিত মুসলিম মহিলা সহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনরা৷ভোট দান করে ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসতেই তাদের ওপর হামলা করে কংগ্রেস এবং সিপিএম আশ্রিত দুসৃকতিকারীরা৷ মহিলা সহ পরিবারের লোকজনদের বেধড়ক মারপিট করে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে৷ গুরুতর আহত হয়ে কদমতলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত মনিরুজ্জামানের স্ত্রী৷আজ আহত মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কদমতলা থানার হামলাকারী চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন৷ অভিযুক্তরা হলো নাহিম আহমেদ, মনোয়ারা বেগম, আবুল ফয়েজ ও খলিল আহমেদ৷ প্রত্যেকেই সিপিএম আশ্রিত দুষৃকতী কারী৷ তাদের বাড়ি ঝেরঝেরি গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডে৷ কদমতলা থানা বর্তমানে মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করছে বলে জানান আহতরা৷

