নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুলাই৷৷ ধলাই জেলার গন্ডাছড়ার নাবালিকা দুই সুকল ছাত্রীকে গত ২৯ জুন দিল্লিতে নিয়ে বিক্রি করেছে এলাকারই নারী পাচারকারী চক্রের চাঁই জীতেন ত্রিপুরা৷ এমনই অভিযোগ আনলেন গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত পঞ্চরতন এডিসি ভিলেজের কামদেব পাড়ার (পাখিপাড়া) বাসিন্দা বাল্যজয় ত্রিপুরা ও শাসনজয় ত্রিপুরা৷ তাদের অভিযোগ, তাদের দুই কন্যা যথাক্রমে সান্ত্বনা ত্রিপুরা এবং মনোরমা ত্রিপুরা (দুটো নাম বদলে দেওয়া হয়েছে) স্থানীয় ইংলিশ মিডিয়াম সুকলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল৷ তাদের মধ্যে সান্ত্বনা ত্রিপুরাকে বিয়ে করার প্রলোভন এবং মনোরমা ত্রিপুরাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রইস্যাবাড়ি থানার অন্তর্গত বোয়ালখালি এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা জীতেন ত্রিপুরা দিল্লিতে নিয়ে বিক্রি করে দেয়৷
তারা জানান, বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে গত ১৮ জুলাই৷ এদিন সান্ত্বনা ও মনোরমার বাবার কাছে দুটি ফোন আসে৷ তখন তারা জানতে পারেন যে অভিযুক্ত জীতেন ত্রিপুরা তাদের দিল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছে৷ এতদিন পরিবারের ধারণা ছিল, জীতেন ত্রিপুরা সান্ত্বনাকে বিয়ে করেছে এবং শান্তিরানীকে কর্মসংস্থানের ব্যবসা করে দিয়েছে৷ কিন্তু ফোন পাওয়ার পর তাঁদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে৷
ফোনে এ ধরনের খবর পাওয়ার পর দুই সুকল ছাত্রীর পরিবারের লোকজন নড়েচড়ে বসেন৷ তারা পরেরদিন এলাকার গন্ডাছড়া থানায় জীতেন ত্রিপুরার বিরুদ্ধে এক এজাহার দায়ের করেন৷ প্রাপ্ত এজাহারের ভিত্তিতে ত্রিপুরা পুলিশ তদন্তে নামলেও এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত জীতেনকে গ্রেফতারের কোনও খবর পাওয়া যায়নি৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ, জীতেন ত্রিপুরা দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে বহিঃরাজ্যে নারী পাচার করে আসছে৷ তাকে গ্রেফতার করে তাদের মেয়েদের উদ্ধার করতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গ্রামের জনতা৷