নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই৷৷ আইপিএফটি-তে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কায় বিধানসভায় আলাদা বসার জায়গা চেয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন দলের সভাপতি তথা রাজস্বমন্ত্রী এনসি দেববর্মা৷ এতে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলে ভাঙনের চিন্তায় শীর্ষ নেতৃত্ব দিশেহারা হয়ে পড়েছেন৷ তবে, এ-বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রেবতিমোহন দাস৷
সূত্রের খবর, আইপএফটি-র কয়েকজন বিধায়ক ক্রমাগত বিজেপি-র সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন৷ এমনিতেই ত্রিপুরায় বিভিন্ন স্থানে আইপিএফটি ভেঙে ছারখার হয়ে যাচ্ছে৷ কারণ দলে দলে সমর্থকরা বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন৷

সূত্র বলেছে, দিন-পাঁচেক আগে ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রেবতিমোহন দাসের কাছে আইপিএফটি সভাপতি তথা রাজস্বমন্ত্রী চিঠি দিয়ে বিধানসভায় আলাদা বসার আসন বরাদ্দ করার অনুরোধ জানিয়েছেন৷ বর্তমানে বিজেপি-আইপিএফটি জোটবদ্ধ হয়ে বিধানসভায় আসন পেয়েছে৷ তাতে, বিজেপি এবং আইপিএফটি সদস্যদের আলাদা বসার সুযোগ দেওয়া হয়নি৷ তাছাড়া, জোট সরকারের প্রথা অনুযায়ী বিধানসভায় আসন বরাদ্দ করা হয়েছে দুই দলের সদস্যদের৷ সূত্রের খবর, বিধানসভার অধ্যক্ষ ওই চিঠি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রদেশ সভাপতি বিপ্লবকুমার দেবের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ কারণ, দলগতভাবেও এ-বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন৷
কিন্তু, এখন আইপিএফটি বিধানসভায় বিজেপি-র সাথে বসতে চাইছে না৷ আলাদাভাবে তাঁদের ৮ জন সদস্য বসতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর৷ কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের পেছনেও নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে বলে দাবি সূত্রের৷ খবর, আইপিএফটি-র কয়েকজন বিধায়ক ক্রমাগত বিজেপি-র সাথে যোগাযোগ রাখছেন৷ দলত্যাগ বিরোধী আইন এড়িয়ে তাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিতে চাইছেন৷ কিন্তু, প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক একত্রিত হচ্ছেন না, তাই আইপিএফটি-র বিধায়করা বিজেপি-তে যোগ দিতে পারছেন না৷
সূত্রের বক্তব্য, বিধায়কদের গতিবিধি সম্পর্কে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল৷ কিন্তু, দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁদের বহিষ্কার করতে পারছে না আইপিএফটি৷ তাই, বিকল্প পন্থা হিসেবে বিধানসভায় আলাদাভাবে বসার মাধ্যমে বিধায়কদের উপর চাপ তৈরি করতে চাইছে আইপিএফটি, মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

