নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুলাই৷৷ লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনের জাটিঙ্গা লামপুর ও নিউহারাঙ্গাজাও-এর মধ্যবর্তী ধস বিধবস্ত ১১০/৪.৫ কিলোমিটার অংশে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার৷ যাত্রী সুরক্ষায় এই নির্দেশ অবশ্যই পালন করতে বলা হয়েছে৷ আটদিন পর শনিবার লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে৷

তবে ওই রুটে যাত্রাবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও এদিন শিলচর থেকে কোনও ট্রেন চলাচল করেনি৷ কেবল আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত হামসফর এক্সপ্রেস ও আগরতলা থেকে শিয়ালদহ এবং শিয়ালদহ থেকে আগরতলা পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস শনিবার ধস বিধবস্ত এলাকা নির্বিঘ্নে পার হয়ে যায়৷ তিনটি ট্রেনই ১০ কিলোমিটার গতিবেগে নিউহারাঙ্গাজাও- জাটিঙ্গা লাপুরের ধস বিধবস্ত এলাকা পার হয়েছে৷ শুধু যাত্রীবাহী ট্রেন নয়, এই অংশ দিয়ে মালগাড়ি চলাচলের উপরও গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার৷
এদিকে শনিবার রাত সাড়ে দশটায় আগরতলা থেকে দেওঘরের উদ্দেশে যাত্রা করবে দেওঘর এক্সপ্রেস৷ তবে রবিবার থেকে পাহাড় লাইনে সব ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে জানানো হয়েছে৷ আজ রাত নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ১০.৫৫ মিনিটে গুয়াহাটি থেকে শিলচরের উদ্দেশে যাত্রা করবে গুয়াহাটি-শিলচর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার৷ রবিবার নির্ধারিত সূচি অনুসারে সকাল ৭ টায় শিলচর থেকে শিলচর-গুয়াহাটি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি যাত্রা করবে গুয়াহাটির উদ্দেশে৷ শনিবার সকালে শিয়ালদহ থেকে যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ছেড়েছে তা রবিবার বিকেলে শিলচর গিয়ে পৌঁছবে৷ তাছাড়া রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শিলচর থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশে যাত্রা করবে শিলচর-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস৷
উল্লেখ্য গত ১২ জুলাই লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে বৃষ্টির দরুন নিউহারাঙ্গাজাও ও জাটিঙ্গা লামপুরের মধ্যবর্তী স্থানে ১১০/৪.৫ কিলোমিটার অংশে ১০০ মিটার এলাকা জুড়ে রেলট্র্যাকের নীচ থেকে মাটি-পাথর ধুয়ে নিয়ে যাওয়ার ফলে পাহাড় লাইনে গত এক সপ্তাহ থেকে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল৷ তবে রেলমন্ত্রকের চাপে প্রায় ৫০০ রেলকর্মী দিনরাত কাজ করে রেল লাইন মেরামতি করার পর ১৮ জুলাই রাত ৮-টা ৫ মিনিটে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ট্র্যাক সার্টিফিকেট দেওয়ার পর প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে ইঞ্জিন ও পরে মালগাড়ি চালানো হয়৷ শুক্রবার পুরোদিনে নয় দশটি মালগাড়ি চলাচল করে৷ তার পর রাজধানী ও ত্রিবান্দ্রম এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক আগরতলা ও শিলচর নিয়ে যাওয়া হয়৷ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার থেকে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে সব কয়টি ট্রেনের যাত্রা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে৷

