নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুলাই ৷৷ আকাশ পরিষ্কার হতেই ঘরমুখো হচ্ছেন ত্রিপুরায় বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয়কারীরা৷ সারা রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৪৭টি ত্রাণ শিবির বন্ধ করা হয়েছে৷ আজ সারাদিনে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ ফলে নদীর জলস্তরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গিয়েছে৷ তাছাড়া বিভিন্ন প্লাবিত নিম্নাঞ্চলের জল নামতে শুরু করেছে৷
রাজ্য দুযর্োগ মোকাবিলা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারী বর্ষণের কারণে ১ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৬৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল৷ তাতে, ১৪ হাজার ৯৮১ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ তাছাড়া, প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আরও ৬ জন আহত হয়েছেন৷ ধলাই ও দক্ষিণ ত্রিপুরায় ১ জন করে প্রাকৃতিক দুযর্োগের বলি হয়েছেন৷ তেমনি ধলাই জেলায় ৪ জন ও দক্ষিণ ত্রিপুরায় জেলায় ২ জন আহত হয়েছেন৷ রিপোর্ট অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে, চলতি মাসে ভারী বর্ষণে কারণে ত্রিপুরায় ২-টি বাড়ি পুরোপুরি, ৯-টি বাড়ি মারাত্মকভাবে এবং ৯-টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল পশ্চিম জেলায়৷ কারণ, ভারী বর্ষণে পশ্চিম জেলায় বহু এলাকা জলমগ্ণ হয়ে পড়ে৷ তাতে, প্রচুর মানুষ ত্রাণ শিবিরে নিয়েছেন৷ চলতি মাসে পশ্চিম জেলায় ৪৯টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল৷ তাতে ১৩ হাজার ৭১ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ আজ ৩২টি ত্রাণ শিবির বন্ধ করা হয়েছে৷ সেখানে আশ্রিত ৭,১০৭ জন ত্রাণশিবির ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন৷ আপাতত পশ্চিম জেলায় ১৭টি ত্রাণ শিবিরে ১,৩৪২ পরিবারের ৫,৯৬৪ জন রয়েছেন৷
এদিকে, খোয়াই জেলায় ৮-টি ত্রাণ শিবিরের মধ্যে ৬-টি শিবির আজ বন্ধ করা হয়েছে৷ ফলে, ২-টি ত্রাণ শিবিরে ৩২ পরিবারের ১২৩ জন আশ্রয় নিয়ে আছেন৷ এছাড়া ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের গৌরনগরে ১-টি ত্রাণ শিবিরে ২৭ পরিবারের ১০৬ জন, গোমতি জেলার উদয়পুরে তিনটি ত্রাণ শিবিরে ১৮৭ জন এবং সিপাহিজলা জেলার বিশালগড়ে ১-টি ত্রাণ শিবিরে ৭ পরিবারের ৩১ জন আশ্রয় নিয়ে আছেন৷
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত আগামীকাল ওই ত্রাণ শিবিরগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ কারণ, আবহাওয়া এখন অনুকূলে রয়েছে৷ তাছাড়া ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷