নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুলাই ৷৷ ব্রহ্মাস্ত্র নিয়ে মাঠে নামছে বিজেপি৷ রাজ্যে আবারও শুরু হচ্ছে বিজেপির বিস্তারক অভিযান৷ মূলতঃ বিস্তারকরা দলের নীতি-আদর্শ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন৷ তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিস্তারকদের মাধ্যমেই সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে চাইছে শাসক দল বিজেপি৷ শুক্রবার আগরতলায় সাংগঠনিক বৈঠকে এই বিষয়ে চর্চা করেছেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা৷
প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য্যের কথায়, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে৷ কিছু আসনে লড়াই হবে৷ কিন্তু, সমস্ত আসনেই প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাবেন৷ কারণ, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যে মানুষের চাহিদা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি৷ সেক্ষেত্রে বিস্তারকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন৷ সাথে তিনি যোগ করেন, আজকের বৈঠকে বিজেপির সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷
এই বিষয়ে বিজেপির প্রদেশ মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য্য জানান, সারা দেশে সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে বিজেপির৷ সেই সাথে রাজ্যেও বিজেপির সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান চলছে৷ এবার রাজ্যে সদস্যপদ সংগ্রহে পাঁচ লক্ষ লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে সদস্যপদ সংগ্রহে কোন সমস্যা যাতে না হয় সে বিষয়ে আজ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে অনলাইনে সদস্যপদ সংগ্রহের পাশাপাশি অফলাইনেরও ব্যবস্থা রাখা হবে৷ পাশাপাশি রসিদের মাধ্যমেও সদস্যপদ সংগ্রহ করা হবে৷ এদিন তিনি আরও জানান, রাজ্যে বিস্তারক অভিযান শুরু করতে চলেছে বিজেপি৷ তারা রাজ্যের সমস্ত গ্রাম, শহর এলাকা ঘুরে বেড়াবেন৷ দলের নীতি আদর্শ জনসাধারণের কাছে তুলে ধরবেন৷ পাশাপাশি, মানুষের ক্ষোভ, আক্রোশ, অভিযোগ সম্পর্কেও অবগত হবেন৷
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিস্তারক অভিযান রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে৷ কারণ, দলের নীতি আদর্শ মোতাবেক রণকৌশল মেনে বিজেপি তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিস্তারকরা ঐতিহাসিক কাজ করেছেন বলে দাবি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের৷ আবারও বিস্তারকদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে বিজেপি৷ কারণ, গত দেড় বছরে শাসনকালে রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে উল্লেখযোগ্য কাজ হয়নি৷ উপরন্তু রাজ্যবাসীর একাংশের মনে ক্ষোভ বিক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করেছে৷ ধারণা করা হচ্ছে সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধিতে দলের সবচেয়ে বেশী সক্রীয় কর্মী হিসেবে পরিচিত বিস্তারকদের উপরই ভরসা করতে চাইছে বিজেপি৷
এদিন আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রদেশ কমিটির সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব, উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, শিক্ষা ও আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ, দলের প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য, প্রদেশ যুব মোর্চা সভাপতি টিঙ্কু রায়, মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য৷ এছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা ও মহকুমা কমিটির সভাপতি এবং দলের মনোনীত সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷