বেঙ্গালুরু, ১০ জুলাই (হি.স.): কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান একটি বহুতল। ইট-কংক্রিট-সহ ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে ৪ বছরের একটি শিশু-সহ আরও ৭ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপাতত উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দমকল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং সিভিল ডিফেন্স-এর কুইক রেসপন্স টিম।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার ভোররাতে বেঙ্গালুরুর পুলকেশী নগরের থমাস টাউনের হাচিন্স রোডে অবস্থিত একটি নির্মীয়মান বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বহুতল ভেঙে পড়ার কারণে ভেঙে যায় সংলগ্ন আরও একটি বহুতল। বহুতল ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং সিভিল ডিফেন্স-এর কুইক রেসপন্স টিম। দীর্ঘক্ষণ উদ্ধারকাজ চালানোর পর ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে একটি শিশু-সহ মোট ১২ জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৭ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধী। কী কারণে ভেঙে পড়ল বহুতলটি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্মাণকারী সংস্থার গাফিলতির কারণেই এই বিপত্তি বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতদের নাম হল-নারায়ণ (২৬), নির্মলা (২০), অনুষ্কা (০৩), শম্ভু কুমার এবং মধ্যবয়স্ক একজন ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রের খবর, বিহারের বাসিন্দা ১৩ জন শ্রমিক ওই নির্মীয়মান বহুতলে কাজ করতেন।
বিবিএমপি পূর্ব (জোন)-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার বি এস প্রসাদ জানিয়েছেন, ‘বুধবার ভোররাত দু’টো নাগাদ আচমকাই ভেঙে পরে চার বছরের পুরানো আবাসিক বহুতল। ওই বহুতলে আটটি পরিবার থাকতো। মাটির তলার ভীত দুর্বল হওয়ার কারণেই সম্ভবত বাড়িটি ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ে সংলগ্ন নির্মীয়মান বহুতল।’ বিবিএমপি-র মেয়র গঙ্গাম্বিকা মল্লিকার্জুন জানিয়েছেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত নির্মাণ করা হয়েছিল। এই ধরণের বিল্ডিং ভেঙে ফেলার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।