নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জুলাই ৷৷: খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে পূর্বোত্তরের জন্য বরাদ্দ অর্থ খরচ হচ্ছে না৷ আক্ষেপ করে এ-কথা বলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ রাষ্ট্র মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি৷ তাঁর কথায়, পূর্বোত্তরের ফল-সব্জির বিরাট ভান্ডার রয়েছে৷ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এর বাজার দখল করা সম্ভব৷ তাই তিনি কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের সুযোগ সুবিধা নিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি৷

শনিবার আগরতলায় প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্পদা যোজনার অন্তর্গত কর্মশালায় রামেশ্বর তেলি বলেন, ১৯৮৮ সালে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রক গঠন করা হয়েছিল৷ তখন ওই মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ কম ছিল৷ কিন্তু এখন যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে৷ তার কথায়, গত অর্থ বর্ষে ১৪০০ কোটি টাকা এই মন্ত্রকের জন্য পূর্বোত্তরে খরচে বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ অথচ, পুরো টাকা খরচ করা সম্ভব হয়নি৷ তার দাবি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকে পূর্বোত্তরের জন্য ১১০ কোটি টাকা এখন অব্যায়িত রয়েছে৷
এদিন তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে সকলেই সরব হন৷ অথচ, স্বনির্ভরতার দিকে কেউ পা বাড়াতে চান না৷তার কথায়, পূর্বোত্তরে ফল-সব্জির অফুরন্ত ভান্ডার রয়েছে৷ ওই ফল-সব্জির জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বিরাট বাজারও রয়েছে৷ তার দাবি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের সহায়তায় বাজার দখলে সকলের এগিয়ে আসা উচিত৷ তিনি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে শিল্পোদ্যোগে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে৷ তাতে একদিকে কর্মসংস্থান হবে, অন্যদিকে অনেকেই স্বনির্ভর হতে পারবেন৷ তার দাবি, ত্রিপুরায় এমন অনেক ফল রয়েছে, সেগুলিকে সঠিক ব্যবহার করে শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব হবে৷
এদিকে, ডোনার সহ বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে বরাদ্দের ১০ পূর্বোত্তরের জন্য চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ তার কথায়, ওই অর্থ পাওয়া গেলে পূর্বোত্তরকে আরও উন্নত করা সম্ভব হবে৷

