নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জুন৷৷ ধর্মনগর পূর্ব-হুরুয়ার গোয়ালা বস্তি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে খুন হল ৬১ বর্ষীয় মহিলা কাঞ্চন বালা নাথ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ তবে, খুনের রহস্য উন্মোচন করতে পুলিশ তদন্ত করছে৷ রাতে খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ অন্ধকারে হাতরাচ্ছে৷
নিজ বাড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে উত্তমকে নিয়ে থাকতেন কাঞ্চন বালা নাথ৷ স্বামী গৌরি চরণ নাথ ও আরেক ছেলে গৌতম নাথ তারা বাইরে থাকেন৷ গতকাল রাতে মা ও ছেলে একই ঘরের ভেতরে পাশাপাশি কক্ষে ছিল৷ রবিবার সকালে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে উত্তম মাকে ডাকলে মা ঘুম থেকে না উঠায় সে আর তার মাকে ডাকেনি৷ এদিন সকাল ৯টা নাগাদ কাঞ্চন বালা নাথের ছোট বোন বুলি নাথ (৫৬) দিদিকে ডাকতে এলে তিনি দেখতে পান কাঞ্চন বালা নাথ মৃত অবস্থায় নিজ ঘরে মশারীর ভেতরে পড়ে আছেন৷ এদেখে তিনি ভয়ে চিৎকার শুরু করেন, পাড়া প্রতিবেশীকে খবর দিলে তারা এসে দেখে তাদের আত্মীয় পরিজনদের খবর দেয়৷ ঘটনার খবর পেয়ে কাঞ্চন বালা নাথের মেয়ে ও নাতনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে৷
খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর মহিলা থানায়৷ পুলিশ ও টিএসআর নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মহিলা থানার ওসি স্বর্ণা দেববর্মা ও অতিরিক্ত পুলিস সুপার ফ্রান্সিস ডারলং৷ প্রাথমিক তদন্তের পর খবর দেওয়া হয় ফরেনসিক টিম ও পুলিশ কুকুরকে৷ কাঞ্চন বালা নাথের বোন বুলি নাথ জানান কিছু দিন আগে বাড়ির সামনের মোদী দোকানের মালিক রানু দাসের সাথে দোকান বাকি নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল কাঞ্চন বালা নাথের৷ যে সমস্যার সমাধান তিনি শেষ করে দেন দোকান বাকি মিটিয়ে৷ কিন্তু এরপরও দোকানের মালিক রানু দাস কাঞ্চন বালা নাথকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়৷ আজ এই ঘটনার পর থেকে রানু দাস একবারের জন্য এলাকায় দেখা যায়নি ও দোকান খুলেনি৷
অন্যদিকে এলাকার মানুষ থেকে জানা যায় পারিবারিক সম্পত্তির বিবাদ ছিল ভাই বোনের মধ্যে৷ এর আগেও পারিবারিক সম্পত্তির বিবাদ মেটাতে পুলিশ গিয়েছিল ঐ বাড়িতে৷ এখন দেখার পুলিশ এই রহস্যমৃত্যুর তদন্ত করে কি বের করে৷ কারণ পুলিশ এখনই এই খুনের বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না৷ তবে খুন হয়েছেন কাঞ্চন বালা নাথ এটা সন্দেহ নেই কারণ মৃতার গলায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে৷ এদিকে এলাকার বিজেপি নেতৃত্বরা প্রকৃত খুনিকে চিহ্ণিত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে৷ তবে এলাকার মানুষের ধারণা পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে কাঞ্চন বালা নাথকে৷ এর আগে এই ধরনের ঘটনা এই গ্রামে ঘটেনি৷ ঘটনা জানাজানি হতেই আতংক বিরাজ করছে গোটা এলাকায়৷