রাহুলের ইস্তফার সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে পদত্যাগের হিড়িক কংগ্রেসে

নয়াদিল্লি, ২৯ জুন (হি.স.)৷৷ কংগ্রেসে পদত্যাগের হিরিক অব্যাহত৷ লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর তার দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলে স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ এই অবস্থায় নির্বাচনে হারের দায় নিয়ে গণ-ইস্তফা দিলেন অন্তত ১২০ জন কংগ্রেস সদস্য৷ এদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও অন্যান্য নেতানেত্রীরা৷

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী৷ কিন্তু তাঁকে বিরত করেন দলের প্রবীণ নেতারা৷ রাহুলের নেতৃত্বের কাজ করার আগ্রহপ্রকাশ করেন সকলে৷ তবে সূত্রের খবর, এখনও রাহুল গান্ধী সভাপতির পদ ছাড়তে গোঁ ধরে রয়েছেন৷ এহেন পরিস্থিতি নির্বাচনে হারের দায় নিয়ে পদত্যাগের হিরিক অব্যাহত জাতীয় কংগ্রেসে ঊ নির্বাচনে হারের দায় নিয়ে গণ-ইস্তফা দিলেন অন্তত ১২০ জন কংগ্রেস সদস্য৷ শনিবারই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকে নিজের ইস্তফাপত্র দিয়েছে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা রাজস্থানের প্রদেশ সভাপতি তরুণ কুমার ঊ ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন, তেলেঙ্গানার প্রদেশ সভাপতি পুনম প্রভাকর, বিহারের প্রদেশ সভাপতি বিরেন্দ্র রাঠোর, মধ্যপ্রদেশের ও গোয়ার প্রদেশ সভাপতি দীপক বাবারিয়া ও গিরিশ চৌধানকার, যুব কংগ্রেসের সহসভাপতি শ্রীনিবাস, দিল্লির কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতি রাজেশ লিলোথিয়া এবং অনিল চৌধুরীর মত হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা৷ পদত্যাগ করেছেন রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ বিবেক তনখাও৷ ইস্তফা দেওয়া নেতাদের দাবি, পদমর্যাদা পূরণ করতে না পারার অনুশোচনাতেই এই সিদ্ধান্ত৷ রাহুল গান্ধীর সম্মান রাখতে পদত্যাগ করলেন তাঁরা৷ পদত্যাগকারী কংগ্রেস নেতা দীপক বাবারিয়া জানান, প্রতিটি কংগ্রেস নেতাকেই নির্বাচনে খারাপ ফলের দায় নিতে হবে৷

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন কংগ্রেসের প্রায় ৩০০ জন নেতা সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির নয়াদিল্লির অফিসে জমায়েত হন৷ সেখানে অলিখিতভাবে বৈঠক করেন পদত্যাগে ইচ্ছুক নেতারা৷ সেই বৈঠকেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ১২০ জন কংগ্রেস নেতা৷কংগ্রেসের উপরমহলের নেতৃত্বের দাবি, এমন কোনও বৈঠকের বিষয়ে অবগত নয় দল৷

এদিকে, এই গণ-ইস্তফার পরেই দিল্লি কংগ্রেসের নেত্রী শীলা দীক্ষিত তড়িঘড়ি ২৮০টি ব্লক কংগ্রেস কমিটি ভেঙে দেন৷ রাহুল গান্ধী এর পরেই দলের বেশ কয়েকজন পুরানো নেতা-কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলকে সংগঠন শক্তিশালী করতে নির্দেশ দেন তিনি৷

তবে কংগ্রেসের এই নেতারা রাহুলকেই দলের সর্বভারতী সভাপতি পদে থাকার রাস্তা পরিষ্কার করে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *